সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক বৃহস্পতিবার (১৪ মে) বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
কোভিড-১৯ মহামারি রোধকল্পে আগামী ১৭ মে থেকে ২৮ মে পর্যন্ত সাধারণ ছুটি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
এর মধ্যে ২১ মে শবে কদরের সরকারি ছুটি, ২২, ২৩, ২৯ ও ৩০ মে সাপ্তাহিক ছুটি এবং ২৪, ২৫ ও ২৬ মে পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটিও সাধারণ ছুটির অন্তর্ভুক্ত হবে। বশেফমুবিপ্রবির একাডেমিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ১ জুন পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসগুলো এবং ২ জুন পর্যন্ত ক্লাস বন্ধ থাকবে। এ অবস্থায় আগামী ১ জুন পর্যন্ত বশেফমুবিপ্রবির অফিসগুলো বন্ধ থাকবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার খন্দকার হামিদুর রহমান বলেন, ছুটি শেষে সরকারি নির্দেশনার আলোকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস-পরীক্ষার বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
বৈশ্বিক মহামারি নভেল করোনা ভাইরাসের (কোভিড-১৯) প্রকোপ ছড়িয়ে পড়ায় গত ১৬ মার্চ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে ১৭ মার্চ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত বশেফমুবিপ্রবির সব ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এরপর ২২ মার্চ থেকে বন্ধ রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কার্যক্রম।
পরবর্তীতে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারের নির্দেশনা অনুসারে কয়েক দফা বশেফমুবিপ্রবির ছুটির সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে।
এদিকে অনির্ধারিত দীর্ঘ এ ছুটির প্রভাব যাতে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবনে প্রভাব ফেলতে না পারে সেজন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৈয়দ সামসুদ্দিন আহমেদের নির্দেশনায় ও সার্বিক তত্ত্বাবধানে অনলাইনে ক্লাস নেওয়া হচ্ছে।
এ বিষয়ে বশেফমুবিপ্রবির উপাচার্য বলেন, কোভিড-১৯ এর কারণে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও বন্ধ রয়েছে। এ অবস্থায় শিক্ষার্থীরা যাতে লেখাপড়া থেকে বিচ্ছিন্ন ও হতাশাগ্রস্ত না হয়ে পড়েন সেজন্য আমরা তাদের মোটিভেট করছি। পাশাপাশি শিক্ষাকার্যক্রমও যাতে ব্যহত না হয় সেজন্য অনলাইনে ক্লাস পরিচালনা করা হচ্ছে।
করোনা প্রতিরোধে অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বশেফমুবিপ্রবির উপাচার্য।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫০ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০২০
ওএইচ/