রোববার (১৪ জুন) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। সোমাবার দুই মন্ত্রণালয় বসে সিদ্ধান্ত নেবো।
তিনি বলেন, এ মুহূর্তে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা বা পরীক্ষা নেওয়ার মতো পরিস্থিতি নেই। তবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানায়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি আরও বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
বন্ধের মধ্যে শিক্ষা কার্যক্রমের বিষয়ে আকরাম বলেন, এখন ভার্চ্যুয়াল ক্লাস চলছে। এখন লোকালি ভার্চ্যুয়াল ক্লাসের জন্য উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল খায়ের জানান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিষয়ে সোমবার সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
অন্য একটি সূত্র জানিয়েছে ছুটি আপাতত ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়তে পারে।
করোনা ভাইরাসের কারণে গত ১৭ মার্চ হতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। আর ২৬ মার্চ হতে ৩০ মে পর্যন্ত ৬৬ দিনের সাধারণ ছুটি শেষে ৩১ মে সীমিত পরিসরে অফিস ও গণপরিবহন খুলে দেওয়া হয়েছে। ১৫ জুন পর্যন্ত দেখে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে সরকার। এ সময়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হবে।
গত ১ জুন শিক্ষা মন্ত্রণালয় বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অফিস শুধু প্রশাসনিক রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজনে (যথা: ছাত্রভর্তি, বিজ্ঞানাগার, পাঠাগার, যন্ত্রপাতি রক্ষণাবেক্ষণ, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতায় ইত্যাদি) সীমিত আকারে খোলা রাখা যাবে। তবে অসুস্থ শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী, সন্তান সম্ভবা নারী এবং ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উপস্থিত হওয়া থেকে বিরত থাকবেন। তবে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অফিসও বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ১৫ জুন পর্যন্ত।
এদিকে, সংক্রমণ এড়াতে সরকার এখন এলাকাভিত্তিক লকডাউন করে সেসব এলাকায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করবে। এসব এলাকার সব অফিস বন্ধ রাখা হবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৩ ঘণ্টা, জুন ১৪, ২০২০
এমআইএইচ/ওএইচ/