করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় কেন্দ্রীয়ভাবে ভর্তি শুরু না হতেই বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রচারের মধ্যে এ সতর্কতার কথা জানানো হয়েছে।
রোববার (১৪ জুন) আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মু. জিয়াউল হক এ কথা জানান।
‘বিধিবহির্ভূতভাবে কতিপয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক বিভিন্ন উপায়ে ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে অনলাইনে কিংবা ম্যানুয়াল ভর্তি প্রচার-প্রচারণার বিজ্ঞপ্তি বন্ধকরণ সম্পর্কিত সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি’ প্রকাশ করে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড।
এতে বলা হয়, কেবল আন্তঃশিক্ষা বোর্ড নিজস্ব অনলাইনে যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে একাদশ শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তির কার্যক্রম সম্পন্ন করে থাকে। যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিজস্ব অনলাইনে ভর্তির বিজ্ঞপ্তি প্রচার করেছে তা ভর্তি নীতিমালা ২০২০-২১ এর পরিপন্থি। অবিলম্বে এ ধরনের ভর্তির বিজ্ঞপ্তি ও প্রচার-প্রচারণা বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হলো।
সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের উদ্দেশে বলা হয়, আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের ভর্তি সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি (নির্দেশনা) ব্যতীত বিধিবহির্ভূত যেসব শিক্ষার্থী কোনো প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হবে তাদের রেজিস্ট্রেশন ও পরবর্তীতে বোর্ড পরীক্ষায় অংশগ্রহণে ফরম পূরণের কোনো সুযোগ নেই।
সংশ্লিষ্ট সবাইকে এ ধরনের কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার নির্দেশনা দিয়েছে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড।
করোনা ভাইরাসের কারণে গত ১৭ মার্চ থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। আর ২৬ মার্চ থেকে ৩০ মে পর্যন্ত দেশব্যাপী ৬৬ দিনের সাধারণ ছুটি শেষে ৩১ মে সীমিত পরিসরে অফিস ও গণপরিবহন খুলে দেওয়া হয়। তবে এ সময়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। সোমবার (১৫ জুন) দুই মন্ত্রণালয় বসে সিদ্ধান্ত নেবো। এ মুহূর্তে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা বা পরীক্ষা নেওয়ার মতো পরিস্থিতি নেই।
তবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানায়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি আরও বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
করোনা রোগীর সংখ্যা বাড়ার কারণে এখন এলাকাভিত্তিক লকডাউন করে সেসব এলাকায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করতে যাচ্ছে সরকার। এসব এলাকার সব অফিস বন্ধ রাখা হবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৯ ঘণ্টা, জুন ১৪, ২০২০
এমআইএইচ/আরআইএস/