মঙ্গলবার (৩০ জুন) এক বিবৃতিতে শিক্ষক নেতারা বলেন, বিএড স্কেল কোনো উচ্চতর গ্রেড নয়, এটি শিক্ষকদের একাডেমিক যোগ্যতা পরিমাপ কাঠি। কেউ বিএড নিয়ে চাকরিতে প্রবেশ করে, আবার কেউ পরেও বিএড করে।
এ বিষয়ে সরকারি নির্দেশনা রয়েছে- চাকরিতে যোগদানের ৫ বছরের মধ্যে বিএড করতে হবে।
শিক্ষক নেতারা আরও বলেন, বেসরকারি শিক্ষকরা অনেক সময় চাকরিতে যোগদানের ৫-১০ বছর পরেও এমপিওভুক্ত হয় বিভিন্ন জটিলতায়। সবমিলিয়ে শিক্ষকদের ভোগান্তির শেষ নেই।
বিবৃতিতে শিক্ষক নেতারা বলেন, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকরা বর্তমানে ৭ম গ্রেডে বেতন পাচ্ছেন। কিন্তু সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকরা ৬ষ্ঠ গ্রেডে বেতন পাচ্ছেন। এক্ষেত্রেও বেতন বৈষম্য। বেসরকারি সহকারী প্রধান শিক্ষক ও প্রধান শিক্ষক এবং অধ্যক্ষ-উপাধ্যক্ষরা সবাই ১০ বছরে ১টি এবং পরবর্তীতে ৬ বছরে আরও একটি উচ্চতর গ্রেড পাবে। সরকারি সব সুযোগ-সুবিধা বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীরা পান না। কাজেই ১৬ বছরে দ্বিতীয় উচ্চতর গ্রেডের বিষয়ে হাইকোর্টের মামলা এটি বেসরকারি শিক্ষকদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। ওই মামলা সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নিজেদের স্বার্থে করেছেন। বেসরকারি শিক্ষক হয়রানি বন্ধ করতে হবে।
কলেজ শিক্ষকদের অনুপাত প্রথা বাতিলসহ পদোন্নতি, অনার্স-মাস্টার্স কলেজ শিক্ষকদের অবিলম্বে এমপিওভুক্তি এবং ঈদুল আজহার আগেই ২৫ শতাংশের পরিবর্তে পূর্ণাঙ্গ ঈদ বোনাস প্রদানসহ মুজিববর্ষেই সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান একসঙ্গে জাতীয়করণের দাবি জানান নেতারা।
বাংলাদেশ সময়: ০৩২৪ ঘণ্টা, জুলাই ০১, ২০২০
এমআইএইচ/ডিএন/আরবি/