ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

লকডাউনে ভিডিওচিত্র বানিয়ে খুদে শিক্ষার্থী প্রিয়তির রোবট জয়

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪০ ঘণ্টা, জুলাই ১০, ২০২০
লকডাউনে ভিডিওচিত্র বানিয়ে খুদে শিক্ষার্থী প্রিয়তির রোবট জয়

ঢাকা: মহামারি করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে কার্যত লকডাউনের মধ্যেই ঘরে বসে শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশে রোবট হান্টিং কম্পিটিশন আয়োজন করেছিল রাজধানীর উত্তরার এইমস ডিজিটাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ। এতে ভিডিওচিত্র বানিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছে খুদে শিক্ষার্থী ইসাবা ইলমি প্রিয়তি। সে প্রথম স্থান অর্জন করে একটি রোবট জিতেছে।

করোনা ভাইরাসের কারণে এইমস ডিজিটাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহ থেকেই অনলাইনে ক্লাস চালু করে। শুধু তা-ই নয়, প্রতিদিন অনলাইন ক্লাসের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশের জন্য সহায়ক শিক্ষা নিয়েও ভাবছিল প্রতিষ্ঠানটি।

এরইমধ্যে গত মে মাসে শুরু হয় রোবট হান্টিং কম্পিটিশন।

প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে লকডাউনে ঘরে বসে শিক্ষার্থীদের এইমস ডিজিটাল স্কুল নিয়ে ভিডিওচিত্র বানাতে বলা হয়। এতে স্কুলের নার্সারি থেকে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। আর এই প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করে তৃতীয় শ্রেণির ইংরেজি মাধ্যমের শিক্ষার্থী প্রিয়তি।
রোবটশুক্রবার (১০ জুলাই) সকালে ফেসবুক লাইভের মাধ্যমে স্কুলের ক্যাম্পাস-২ থেকে এইমস ডিজিটাল স্কুল নিয়ে ‘ভিডিওচিত্র তৈরি প্রতিযোগিতায়’ রোবট বিজয়ীর নাম ঘোষণা এবং শিক্ষাবিষয়ক আলোচনার অয়োজন করা হয়।

আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন স্কুলের ক্যাম্পাস-৩ এর প্রিন্সিপাল আফরোজা আখতার, ভাইস প্রিন্সিপাল আব্দুল কাদের জিলানী, শিক্ষক মাহফুজ ইফতিয়াজ অনিক এবং অভিভাবকদের পক্ষ থেকে অংশগ্রহণ করেন বাংলা একাডেমির সহ-পরিচালক ইমরুল ইউসুফ।

আলোচনা শেষে বিজয়ী প্রিয়তির হাতে রোবট তুলে দেন স্কুলের প্রধান উপদেষ্টা আশরাফুল আলম। পরে প্রিয়তি তার অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে বলে, আমার এত্তো এত্তো ভালো লাগছে, বলে বোঝাতে পারব না। আমার অনেক দিনের স্বপ্ন ছিল একটি রোবট পাওয়া। রোবটের সঙ্গে কথা বলা। আমার সে স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। এমন দারুণ আয়োজনের জন্য স্কুলের শিক্ষকদের ধন্যবাদ জানাই।

স্কুলের ভাইস প্রিন্সিপাল আবদুল কাদের জিলানী বলেন, আমাদের সবসময় চেষ্টা থাকে পাঠ্যবইয়ের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মানসিক, শারীরিক ও নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত করে তোলা। পাঠকে আনন্দদায়ক করে তোলা। সর্বোপরি একজন সৃষ্টিশীল এবং ভালো মানুষ হিসেবে তাদের গড়ে তোলা। এইমস ডিজিটাল স্কুলের এমন উদ্যোগ আগামীতেও অব্যাহত থাকবে।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩৫ ঘণ্টা, জুলাই ১০, ২০২০
টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।