বৃহস্পতিবার রাতে ওই অনলাইন আলোচনা সভায় নতুন উদ্ভাবনী শিক্ষা পদ্ধতি, ডিজিটাল রূপান্তর, আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে সমন্বয়, একাডেমিক ও ইন্ডাস্ট্রি চাহিদার মধ্যে পার্থক্য, উদ্যোক্তা তৈরি করা এবং শিক্ষা সংক্রান্ত বিভিন্ন নীতিমালা নিয়ে বক্তারা আলোচনা করেন।
আলোচনায় শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এমপি উপস্থিত থেকে সরকারের নানা চলমান এবং ভবিষ্যৎ উদ্যোগের কথা জানান।
তিনি অতিথিদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এসিসিএ বাংলাদেশ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনার ব্যবস্থা করেছে। দেশের প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক স্থাপনের কাজে এসিসিএ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
অতিথিদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য প্রফেসর ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির (বিডিইউ) ভাইস-চ্যান্সেলর মুনাজ আহমেদ নূর, সরকারের এটুআই এবং ইউএনডিপির পলিসি অ্যাডভাইজর আনীর চৌধুরী, বিশ্বব্যাংক গ্রুপের দক্ষিণ এশিয়ার শিক্ষা কার্যক্রমের টিম লিডার ও বিশেষজ্ঞ টি. এম. আসাদুজ্জামান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটের (আইবিএ) পরিচালক প্রফেসর ড. সৈয়দ ফারহাত আনোয়ার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ডিন ড. মুহাম্মাদ আব্দুল মঈন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের প্রফেসর মো. শাহ আজম, স্নেহাশীষ মাহমুদ অ্যান্ড কোং চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টসের পার্টনার জারীন মাহমুদ হোসেন, সামিট কমিউনিকেশনস লিমিটেডের এমডি ও সিইও এবং এসিসিএ বাংলাদেশের উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারম্যান আরিফ-আল ইসলাম, এনরুট ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের এমডি ও সিইও আবু দাউদ খান, এলসিবিএস ঢাকা লিমিটেডের সিইও ও চেয়ারম্যান এম এ কালাম, এডবেস প্রফেশনালসের ডিরেক্টর ফয়সাল বিন মালেক, প্রফেশনাল স্কুল অব বিজনেস (পিএসবি) চট্টগ্রামের সিইও মহি উদ্দিন সুমন।
এছাড়া এসিসিএ বাংলাদেশ থেকে ছিলেন কান্ট্রি ম্যানেজার মো. এহসানুল হক বাশার, সিনিয়র বিজনেস ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার শাহ্ ওলিউল মঞ্জুর, সঞ্চালক হিসেবে এডুকেশন ম্যানেজার প্রমা তাপসী খাঁন, সিনিয়র বিজনেস ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার মো. শাফায়াত আলী চয়ন, মার্কেটিং ম্যানেজার আব্দুল্লাহ আল হাসান এবং বিজনেস সার্ভিস ও কমপ্লায়েন্স ম্যানেজার জিএম রাশেদ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে এসিসিএ বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার মো. এহসানুল হক বাশার বলেন, কোভিড-১৯ শিক্ষাক্ষেত্রে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। শিক্ষার্থীদের ঝুঁকি বিবেচনা করে বর্তমানে শিক্ষাক্ষেত্রে মুখোমুখি পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। তবে আশার কথা হলো, এর মধ্যেও সরকার টেলিভিশন মিডিয়ার মাধ্যমে বিভিন্ন বয়সী শিক্ষার্থীদের জন্য অনলাইন ক্লাসের ব্যবস্থা করে দিয়েছে। শুধু তাই নয়, সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি অন্যান্য অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও অনলাইনে তাদের পাঠদান শুরু করেছে। এটি নিঃসন্দেহে আশাব্যঞ্জক এবং ভবিষ্যতে সম্ভাবনার বার্তা দিচ্ছে। তবে এটি ডিজিটাল মাধ্যমে অব্যাহত থাকবে কি না কিংবা ভবিষ্যতে এরকম পরিস্থিতি মোকাবেলায় আমাদের ভূমিকা কেমন হওয়া উচিত সে বিষয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ রূপরেখা এবং পরিকল্পনা অতি জরুরি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১০ ঘণ্টা, জুলাই ১৮, ২০২০
নিউজ ডেস্ক