ঢাকা: প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন বলেছেন, আগামী সেপ্টেম্বরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলবে, না খুললে সংশোধিত সিলেবাস প্রণয়নের কাজ আমরা হাতে নিয়েছি। খুললে এক ধরনের প্রস্তুতি, না খুললে অন্যরকম প্রস্তুতি।
সোমবার (২৭ জুলাই) শিক্ষা বিষয়ক রিপোর্টারদের সংগঠন এডুকেশন রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ইরাব) আয়োজিত ‘করোনায় প্রাথমিক শিক্ষায় চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণে করণীয়’ শীর্ষক ভার্চ্যুয়াল সেমিনারে এ কথা জানান তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, শিক্ষার্থী পরবর্তী ক্লাসের জন্য কমপিটেন্ট কিনা, সে বিষয়ে মূল্যায়ন করতে বলা হয়েছে। প্রয়োজনে চলতি শিক্ষাবর্ষ বাড়িয়ে আগামী শিক্ষাবর্ষ কমিয়ে আনার পরিকল্পনা রয়েছে, ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলতে পারে। আর সেপ্টেম্বরের মধ্যে খুললে ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করা হবে চলতি বছরের শিক্ষাবর্ষ।
প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা আপাতত বন্ধ রাখার কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।
ঈদুল আজহার পরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে গুজব চালানো হচ্ছে।
করোনার মধ্যে শিক্ষা কার্যক্রম চালু রাখতে বিভিন্ন জেলায় অনলাইন প্রাইমারি স্কুল চালু হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, বিভিন্ন জায়গায় গ্রুপ করে পড়াশোনা হচ্ছে। মেসেঞ্জারেও সমস্যা সাধান করা হচ্ছে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেন বলেন, স্কুল বন্ধ থাকায় রেডিও’র মাধ্যমে পাঠদানের উদ্যোগ চূড়ান্ত করেছি। এ নিয়ে বেতারের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের সাথে সভা হয়েছে। বেতারের মাধ্যমে হলে ৯৬ শতাংশ বাচ্চার কাছে পৌঁছে যেতে পারব। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে হয়তো শুরু করতে পারব।
বিবিএসের জরিপের তথ্য দিয়ে সচিব বলেন, ৫০ দশমিক ৬ শতাংশ ঘরে টেলিভিশন রয়েছে।
তিনি বলেন, টোল ফ্রি নম্বর ৩৩৩৬ এর কাজ শেষ করেছি। ৫ মিনিট টোল ফ্রি দেয়া হবে, যেকোন শিক্ষকের সাথে সংযুক্ত হয়ে তার সমস্যা সমাধান করে নিতে পারবে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর মহাপরিচালক মো. ফসিউল্লাহ এবং গণস্বাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী সেমিনারে বক্তব্য রাখেন।
ইরাব’র সভাপতি মুসতাক আহমদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নিজামুল হকসহ নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০০ ঘণ্টা, জুলাই ২৭, ২০২০
এমআইএইচ/এমজেএফ