হবিগঞ্জ: গ্রামের নাম ‘খনকারীপাড়া’। কিন্তু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম ‘ঋণকারী পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়’।
স্থানীয়রা নাম সংশোধনের দাবি জানালেও তা এখনও বাস্তবায়িত হয়নি। তবে সম্প্রতি শ্রুতিমধুর না হলে বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের উদ্যোগ নেয় সরকার। এরপর থেকে ওই দুই বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের দাবিতে আরো স্বোচ্চার হয়ে উঠেছেন এলাকাবাসী।
জানা গেছে, উপজেলার কুর্শি ইউনিয়নের খনকারীপাড়া গ্রামে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৭৯ সনে। গ্রামের নামেই বিদ্যালয়ের নামকরণ হওয়ার কথা। তবে ভুলবশত খনকারীপাড়ার পরিবর্ততে লেখা হয় ঋণকারী পাড়া। একই অবস্থা নবীগঞ্জ পৌর এলাকায় অবস্থিত গন্ধা গ্রামের বিদ্যালয়েও। ভুলবশত সেখানে লেখা হয়েছে গনজা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
এলাকার প্রবীণরা জানিয়েছেন, সরকারিভাবে নামকরণের সময় বানান ভুল হয়েছে। এনিয়ে হাসিঠাট্টা করেন বাইরে থেকে আসা লোকজন। বিব্রতকর অবস্থায় পড়ে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। যেহেতু সরকারিভাবে নাম পরিবর্তনের সুযোগ এসেছে; এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি দাবি জানিয়েছেন তারা।
ঋণকারীপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লিটন দাশ জানান, মূলত গ্রামের নামেই বিদ্যালয়ের নাম। কিন্তু ভুলবসত খনকারীপাড়া না লেখে ঋণকারিপাড়া লেখা হয়েছে। এ নাম উচ্চারণ করতে বিব্রতবোধ করে শিক্ষার্থীরা। এটি পরিবর্তনের জন্য কিছুদিন পূর্বে আবেদন করা হলেও কাজ হয়নি।
‘গনজা’ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহিনুর আক্তার চৌধুরী পান্না জানান, গ্রামের নামে স্কুল। কিন্তু টাইপিংয়ে যুক্তবর্ণ লিখতে এই ভুল হয়েছে। গনজা শব্দের কোনো ভিত্তি নেই। ইতোপূর্বে নাম পরিবর্তনের উদ্যোগ নিলেও কাজ হয়নি।
নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মহিউদ্দিন এ ব্যাপারে বলেন, শ্রুতিমধুর নয়; এমন বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন প্রসঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে চিঠি এসেছে। এ নিয়ে শিক্ষা কমিটির উদ্যোগে মিটিং করা হবে। নাম পরিবর্তনের জন্য আমরা প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করবো।
বাংলাদেশ সময়: ০৪৫৪ ঘণ্টা, আগস্ট ০৯, ২০২০
এসএইচএস/এসআইএস