ঢাকা: দেশে ২৯৯টি নতুন সরকারি হওয়া কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীদের আত্তীকরণের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন এবং আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে সরকারি কলেজ শিক্ষক সমিতি। একই সঙ্গে ১৪ দফা দাবিও পেশ করেছে সংগঠনটি।
বুধবার (২৬ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবে সংগঠনটির সভাপতি জহুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের সিনিয়র সহ-সভাপতি জাকারিয়া মাহমুদ।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সরকারি হওয়া ২৯৯টি কলেজের সরকারি হওয়ার আদেশ জারির সময় কর্মরত সকল শিক্ষক-কর্মচারীকে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে অ্যাডহক ভিত্তিতে নিয়োগ দিতে হবে। প্রতিষ্ঠানের ত্রুটির কারণে শিক্ষক-কর্মচারীদের আত্তীকরণে কোন প্রকার হয়রানি করা যাবে না। একইসাথে ২০১৮ সালের শিক্ষক ও কর্মচারী বিধিমালার অসঙ্গতি ও বৈষম্য দূর করাসহ আত্তীকরণে উপবিধি তৈরি করতে হবে।
তিনি বলেন, ২৯৯টি কলেজের মধ্যে থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের কিছু সংখ্যক কর্মকর্তা কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীকে আত্তীকরণের জন্য পদ সৃষ্টির প্রস্তাব করেছে। এ জাতীয় বিশৃঙ্খলা রোধে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
মন্ত্রণালয়ের আত্তীকরণের যাচাই-বাছাই কাজে বেসরকারি কলেজের নিয়োগ সম্পর্কে অভিজ্ঞতা আছে, এমন ব্যক্তি যারা আগে আত্তীকরণ হয়েছে তাদের এবং বর্তমানে যারা আত্তীকরণ হতে যাচ্ছে তাদের প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্ত করা; সদ্য সরকারি হওয়া কলেজগুলো থেকে সংযুক্তি আদেশ পাওয়া সব শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তাদের অবিলম্বে প্রত্যাহার এবং শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তাদের অনুপ্রবেশ বন্ধ করে শূন্য পদে পিএসসির মাধ্যমে নন-ক্যাডার প্রভাষক নিয়োগ দেওয়া; যোগদানের তারিখ থেকে চাকরি শতভাগ গণনা করে কার্যকর চাকরিকাল নির্ধারণ এবং পদোন্নতিসহ সব ক্ষেত্রেই তা কার্যকর করা; শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন স্কেল চালু; সকল পর্যায়ের শিক্ষকদের চাকরির অবসর নেওয়ার বয়স ৬৫ বছরে উন্নীত করে ন্যাশনাল এডুকেশন সার্ভিস প্রতিষ্ঠা করা এবং সরকারি চাকরি নীতিমালা অনুসরণ করে আত্তীকৃত শিক্ষক কর্মচারীদের চাকরি বদলিযোগ্য করাসহ ১৪ দফা দাবি উত্থাপন করা হয় সংবাদ সম্মেলনে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৬ ঘণ্টা, আগস্ট ২৬, ২০২০
এইচএমএস/এমজেএফ