ঢাকা, রবিবার, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৯ মে ২০২৪, ১০ জিলকদ ১৪৪৫

শিক্ষা

ভাস্কর্যবিরোধীদের অতীতের মতো পরাজিত করার প্রত্যয় 

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৭, ২০২০
ভাস্কর্যবিরোধীদের অতীতের মতো পরাজিত করার প্রত্যয় 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাঙচুর করার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। ভাস্কর্যবিরোধীদের অতীতের মতো পরাজিত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন শিক্ষক নেতারা।



সোমবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।  

শিক্ষক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক ড. লুৎফর রহমানের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক নিজামুল হক ভূইয়ার সঞ্চালনায় এতে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামাল, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দীন।  

অন্যদের মধ্যে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক সাদেকা হালিম, রোকেয়া হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা, জিয়া হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক জিয়া রহমান, আইন অনুষদের ডিন রহমত উল্লাহ, টেলিভিশন ফিল্ম অ্যান্ড ফটোগ্রাফি বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. শফিউল আলম ভুইয়া, সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. হুমায়ুন কবির, নীলদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক এবং ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আবদুর রহিম।

ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান বলেন, গৌরবের মাসে অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে একটি বিষয়ের প্রতিবাদ জানাতে ঢাবি শিক্ষকদের মাঠে নামতে হলো। সৃজনশীল শিল্প প্রকাশের মাধ্যম হলো ভাস্কর্য। এটি মানুষের মাধ্যমে প্রকাশিত হয়। যখন ভাস্কর্যবিদ্যা বাধাগ্রস্ত হয়ে পড়ে তখন মানবিকতা বাধাগ্রস্ত হয়। সভ্যতাবিরোধী এসব অপশক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর হওয়া বাঞ্ছনীয়। এদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

অধ্যাপক মাকসুদ কামাল বলেন, এই মৌলবাদী গোষ্ঠী ১৯৭১ সালে দাঁড়িয়েও পরাজিত হয়েছে। ইতিহাসের বাঁকে বাঁকে ধর্মান্ধ এই গোষ্ঠী বাঙালির কৃষ্টির বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে বারবার পরাজিত হয়েছে। কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুর ইসলাম প্রতিষ্ঠার জন্য নয়, এদেশে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা সাংস্কৃতিক চেতনার বিরুদ্ধে হামলা।  

‘এরা একজনও একাত্তর সালে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে দাঁড়ায়নি বরং বিরোধিতা করেছে। বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে দাঁড়ানো মানেই আধুনিক বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো। অতীতেও আমরা এদের পরাজিত করতে পেরেছি। ভবিষ্যতেও এদের পরাজিত করতে পারবো।

ড. আবদুর রহিম বলেন, তৌহিদী জনতার ব্যানারে হেফাজত ইসলামের নেতারা যে বক্তব্য দিয়েছেন তা বিশ্লেষণ করলে বোঝা যায় গভীর ষড়যন্ত্র নিয়ে তারা এই বক্তব্য উপস্থাপন করেছে। এই হেফাজতের জন্ম ২০১০ সালে। আমার প্রশ্ন এতদিন ইসলাম কোথায় বাধাগ্রস্ত হয়েছিল? ২০১৩ সালে তাণ্ডবলীলা চালিয়ে যে ১৩ দফা দাবি দিয়েছিল তার সবটাই রাষ্ট্র ও সংবিধানবিরোধী। ধর্মীয় নেতাদের কাজ নৈতিকতা শিক্ষা দেওয়া ধর্মান্ধ করা নয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৭, ২০২০
এসকেবি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।