ঢাকা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিজের তত্ত্বাবধানে এবং ইউএনডিপি বাংলাদেশের আর্থিক সহায়তায় ‘দেশ পিস জারভেটরি (বিপিও)’র আওতায় শুরু হয়েছে ‘সহিংস চরমপন্থা প্রতিরোধ’ নিয়ে ছয় দিনব্যাপী প্রফেশনাল সার্টিফিকেট কোর্সের ষষ্ঠ আয়োজন। করোনা মহামারির কারণে এবারের কোর্সটি জুম ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে শুরু হয়েছে ২০ ডিসেম্বর।
এই প্রফেশনাল কোর্সে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের সদস্যরা ছাড়াও বিভিন্ন এনজিও এবং আই এনজিও হতে নির্বাচিত ব্যক্তিগণ অংশগ্রহণ করেন। সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে সর্বমোট ৩১ জন এই প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেন। তার মধ্যে অন্যতম উল্লেখযোগ্য হলো আইন ও সালিশ কেন্দ্র, ইউএন ওমেন, দ্য হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশ, হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটি, সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং সোসাইটি ফর হিউম্যান ডেভলপমেন্ট অ্যান্ড ইনভারমেন্ট থেকে মনোনয়ন প্রাপ্ত ব্যক্তিগণ এই কোর্সটি সম্পন্ন করবেন।
এই কোর্সটির মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অংশগ্রহণকারীদেরকে ভায়োলেন্ট এক্সট্রিমিজমের ধারনার সঙ্গে পরিচিত করা এবং কি উপায়ে এই ব্যাধি প্রতিহত করা যায় সে বিষয় নিয়ে আলোচনা করা। ছয় দিনে মোট ১৩ জন অভিজ্ঞ ব্যক্তিত্ব ও শিক্ষাবিদ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বক্তৃতা করবেন। প্রথম দিনে ক্লাস নেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ও সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিজের পরিচালক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ, এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ডক্টর লাইলুফার ইয়াসমিন ।
ড. ইমতিয়াজ আহমেদ ভায়োলেন্ট এক্সট্রিমিজমকে বুঝতে যে বিষয়গুলো প্রাথমিকভাবে মাথায় রাখা উচিত সেগুলো নিয়ে কথা বলেন। অধ্যাপক ডক্টর লাইলুফার ইয়াসমিন বাংলাদেশে ভায়োলেন্ট এক্সট্রিমিজমের ইতিহাস নিয়ে আলোচনা করেন। শেষে বাংলাদেশ পিচ অবজারভেটরি (বিপিও)’র গবেষণা বিশ্লেষক নাদিয়া নুর বিপিও প্লাটফর্ম প্রদর্শন করেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৫৫৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০২০
টিআর/এমএইচএম