ঢাকা: নীলফামারীর সৈয়দপুরে ‘বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়’ নামে কোনো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্তিত্ব নেই বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)। এই নামে কোনো বিশ্ববিদ্যালয় সরকারের অনুমোদনপ্রাপ্ত নয় বলেও জানিয়েছে কমিশন।
সম্প্রতি ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে জনবল নিয়োগসহ ভিত্তি প্রস্তর স্থাপনের তথ্য ইউজিসিতে আসে।
বুধবার ইউজিসি এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বিশ্ববিদ্যালয়টির উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠাতা ভাইস চ্যান্সেলর (ভারপ্রাপ্ত) পরিচয়দানকারী অধ্যাপক ড. এ বি এম শরিফুজ্জামান শাহ সম্প্রতি প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর ও শিক্ষকসহ বিভিন্ন পদে জনবল নেওয়া হবে উল্লেখ করে জাতীয় দৈনিকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন। বিশ্ববিদ্যালয়টির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হিসেবে দেখানো হয়েছে সংসদ সদস্য (৩২৩ মহিলা আসন) রাবেয়া আলীমকে।
বিশ্ববিদ্যালয়টির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের সংবাদ, জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তিসহ বিভিন্ন বিষয় ইউজিসি’র দৃষ্টিগোচর হয়েছে। শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবক ও চাকরিপ্রত্যাশীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাপারে সর্তক হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে ইউজিসি। আগ্রহীরা প্রয়োজনে ইউজিসি’র ওয়েবসাইটে প্রকাশিত অনুমোদিত বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা ও অনুমোদিত প্রোগামের তালিকা অবলোকন করতে পারেন।
ইউজিসি’র বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সদস্য প্রফেসর ড. বিশ্বজিৎ চন্দ বলেন, বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয় নামে কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অস্তিত্ব সম্পর্কে কমিশন অবগত নয়। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয় নামে কোনো প্রকল্প প্রস্তাবও ইউজিসিতে পাঠানো হয়নি।
অস্তিত্ববিহীন এ প্রতিষ্ঠানের অবৈধ কার্যক্রম বন্ধে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্টদের সহায়তা চেয়েছে ইউজিসি। এ বিষয়ে শিগগিরই একটি গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবে ইউজিসি।
ইউজিসি জানায়, ‘বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০১০’ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি প্রত্যেক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে চার বছর মেয়াদে ভিসি, প্রো-ভিসি এবং কোষাধ্যক্ষ পদে নিয়োগ দেন। কাজেই এসব পদে কোনো বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কাউকে নিয়োগ দিলে তা হবে সম্পূর্ণ আইন পরিপন্থী। এছাড়া উপাচার্যবিহীন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন প্রোগ্রামের প্রদত্ত সার্টিফিকেটও অবৈধ হিসেবে বিবেচিত হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০২০
এমআইএইচ/এমজেএফ