ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

করোনা উপেক্ষা করে ঢাবিতে ব্যাপক জনসমাগম

সাজ্জাদুল কবির, ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২১
করোনা উপেক্ষা করে ঢাবিতে ব্যাপক জনসমাগম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মানুষের ভিড়/ ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: টিএসসি থেকে শহীদ মিনার পর্যন্ত সড়কের দুই পাশেই সারি সারি রিকশা। জগন্নাথ হলের পাশ থেকে চলছে ঘোড়ার গাড়ি।

উৎসবমুখর পরিবেশে সবাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আসছেন! রাস্তার দু’ধারেই বসেছে খাবার, গহনা ও ফুলের ভ্রাম্যমাণ দোকান। সেখানেই ভিড় করেছেন আগত দর্শনার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি স্পটেই করোনা উপেক্ষা করে এমনভাবেই সর্বস্তরের মানুষের ঢল নেমেছে।

রোববার (২১ ফেব্রুয়ারি) বিকেল থেকেই ক্যাম্পাস এলাকায় এমন ভিড় দেখে অনেককেই বলতে শোনা গেছে, মার্চে করোনা সংক্রমণের পর থেকে এটাই সবচেয়ে বড় জনসমাগম। এবার করোনার কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বড় আয়োজন মঙ্গল শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্টও সীমিত আকারে আয়োজন করা হয়। বসন্ত উদযাপনও চারুকলা থেকে সরিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চে করা হয়।

সরেজমিনে দেখা গেছে, রুটম্যাপ প্রণয়ন করায় পলাশী দিয়ে অধিকাংশরা শহীদ মিনারে প্রবেশ করছেন। তবে রাস্তা থেকে ব্যারিকেড তুলে নেওয়ার পর শাহবাগ, নীলক্ষেত, চানখারপুল, দোয়েল চত্বর দিয়ে প্রবেশে সবাই যেন হুড়মুড়িয়ে পড়ছেন। কেউ কেউ একুশের বর্ণমালা, মহান শহীদ দিবসসহ বিভিন্ন লেখা ধারণ করেছেন আবার কেউ পোশাকে ফুটিয়ে তুলেছেন শহীদের আবহ।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ স্বাস্থ্যবিধি মেনে শহীদ দিবস পালনের আহ্বান জানালেও আসা দর্শনার্থীদের মধ্যে সেদিকে কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই বললেই চলে। যদিও বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় সাঁটানো হয়েছে নো মাস্ক, নো এন্ট্রি পোস্টার। পোস্টার যে কোনো কাজে আসেনি তা দর্শনার্থীদের দেখেই বোঝা যায়। অধিকাংশ দর্শনার্থীকেই মাস্ক ছাড়া ঘুরতে দেখা গেছে।

বিশেষ দিনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় চকবাজর থেকে জিনিসপত্র এনে বিক্রি করেন রফিকুল ইসলাম। রাজধানীর কেরানীগঞ্জের এই বাসিন্দা বাংলানিউজকে বলেন, করোনার পর তেমন বিক্রি হতো না। আজকে অনেক মানুষ এসেছে। বিক্রিও ভালো হচ্ছে।

নব দম্পতি মিথুন রহমান ও আসমা শহীদ মিনার হয়ে ঘুরতে এসেছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে। বাংলানিউজকে তারা বলেন, প্রতিবার শহীদ মিনার থেকে বাংলা একাডেমি যেতাম। বইমেলায় ঘুরে ঘুরে পছন্দের বই কিনতাম। ভাষার মাস হিসেবে বইমেলা আমাদের অন্যতম আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু। এবার সে সুযোগ না থাকায় টিএসসি আসলাম। কিন্তু করোনার কারণে গেট বন্ধ রয়েছে।

দুই সন্তান সিয়াম হোছাইন ও তারিক হোছাইনকে নিয়ে শহীদ দিবসের বন্ধে ঘুরতে এসেছেন কাজী আবুল হোছাইন। বাংলানিউজকে তিনি বলেন, ভাষা আন্দোলন শুরু হয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। তাদের ইতিহাসের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে এখানেই নিয়ে এসেছি। কিন্তু ভীষণ ভিড়ে হাঁটা যাচ্ছে না। কর্তৃপক্ষের সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতের জন্য আরও তৎপর হওয়া দরকার ছিল।

বাংলাদেশ সময়: ২০২৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২১
এসকেবি/এইচএডি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।