ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার সিলেকশন পদ্ধতি বাতিলের দাবি

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১১ ঘণ্টা, আগস্ট ৩১, ২০২১
গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার সিলেকশন পদ্ধতি বাতিলের দাবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: বিশটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষায় সিলেকশন পদ্ধতি বাতিলের দাবি জানিয়েছেন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে এ দাবি জানান তারা।

এর আগে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থী উম্মে হাবিবা বলেন, গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার ব্যাপারটি একটি হয়রানি। তারা আমাদের হয়রানি করছে। আমরা বলিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে আমাদের এমনিতেই ভর্তি নিয়ে নেন। বরং আমরা ভর্তি পরীক্ষায় বসতে চেয়েছি। আমরা ভর্তি পরীক্ষায় বসার মাধ্যমে নিজেদের যোগ্যতার যাচাই করে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে চাই। আমাদের দাবি একটাই, আজকে আমাকে যদি কোথাও ভর্তি পরীক্ষায় না বসেই পড়াশোনা থেকে ছিটকে ফেলানো হয় তাহলে সেটি আমাদের প্রতি অন্যায়। গুচ্ছ পদ্ধতি নাকি শিক্ষার্থীদের হয়রানি দূর করতে করা হয়েছে। অথচ পুরো প্রক্রিয়াই আমাদের হয়রানি করা হচ্ছে। ভর্তি পরীক্ষায় বসার জন্য আমাদের আজকে বিষের বোতল নিতে হচ্ছে। আমাদের পড়ার টেবিল বসার পরিবেশ তৈরি করে দিন। সিলেকশন পদ্ধতি বাতিল করে দিন।

অপরদিকে শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধি দল গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় সিলেকশন পদ্ধতি বাতিলের দাবিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ইমদাদুল হক বরাবর স্মারকলিপি দেন। এতে উল্লেখ করা হয়, মহামারির অনিবার্য পরিণতি হিসেবে ২০২০ সালের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ফল পরীক্ষা ব্যতিরেকেই পূর্ববর্তী নিম্নমাধ্যমিক ও মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে প্রকাশ করা হয়; সঙ্গত কারণেই সাধারণ শিক্ষার্থীরা কাঙ্ক্ষিত ফলাফল পাওয়া সত্ত্বেও বাস্তবতা ও শিক্ষামন্ত্রীর আশ্বাসে তা স্বীকার করে নেয় যে, উচ্চমাধ্যমিকের হেন ফলাফল উচ্চতর শিক্ষা গ্রহণে কোনো প্রভাব ফেলবে না। অথচ সমসাময়িক বাস্তবতা এই যে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা বাস্তবায়ন কর্তৃপক্ষের নীতিমালা অনুসারে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে কেবল প্রায় এক লাখ বিরানব্বই হাজারের মতো শিক্ষার্থীই প্রাথমিক আবেদনের সুযোগ পায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের আসন, অবকাঠামো-উপরিকাঠামোর বাস্তব সীমাবদ্ধতার খাতিরে সেটাও আমাদের স্বীকার করে নিতে হলো। কিন্তু বিগত ২৫ আগস্টে ফলাফল প্রকাশের পর দেখা যায় যে, আবেদনকারীদের মধ্য থেকে কেবল প্রায় এক লাখ একত্রিশ  হাজারের মতো শিক্ষার্থী চূড়ান্ত আবেদন ও পরীক্ষায় বসার সুযোগ পাবে। এর ফলে প্রায় ষাট হাজারের মতো শিক্ষার্থীর উচ্চতর শিক্ষা জীবন গুরুতর অনিশ্চয়তায় নিমজ্জিত; অথচ নৈতিক বাস্তবতা এই যে, প্রাথমিক আবেদনকারী সকল শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের অধিকার সংরক্ষণ করে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০৯ ঘণ্টা, আগস্ট ৩১, ২০২১
এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।