ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

বাণিজ্যিক বিদ্যুৎ বিল থেকে মুক্তি পেলো হাবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা

হাবিপ্রবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০২১
বাণিজ্যিক বিদ্যুৎ বিল থেকে মুক্তি পেলো হাবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা

দিনাজপুর: দীর্ঘদিন অপেক্ষার পর অবসান ঘটতে যাচ্ছে দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (হাবিপ্রবি ) সংলগ্ন মেসের বিদ্যুৎ বিলের।  

বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী বাড়ার পর ক্যাম্পাস সংলগ্ন বাঁশেরহাট এলাকায় গড়ে উঠেছে মেস বাণিজ্য।

বাজার এলাকায় মেসে শিক্ষার্থীরা বসবাস করলেও শিক্ষার্থীদের দিতে হতো বাণিজ্যিক রেটে বিদ্যুৎ বিল। যা শিক্ষার্থীরে জন্য অত্যান্ত ব্যায়বহুল হয়ে দাঁড়ায়। দীর্ঘসময় জুড়ে প্রায় দুই শতাধিক মেসে থাকা শিক্ষার্থীদের থেকে বাণিজ্যিক বিদ্যুৎ বিল সংগ্রহ করতো পল্লী বিদ্যুৎ বিভাগ।  

একাধিকবার হাবিপ্রবির সাধারণ শিক্ষার্থীরা কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ দিলেও সুরাহা হয়নি। এতে করে বিপাকে পড়েন হাবিপ্রবিতে পড়ুয়া কয়েক হাজার শিক্ষার্থী। বাণিজ্যিক পদ্ধতিতে বিল দেওয়ায় শিক্ষার্থীদের আবাসিক বিলের চেয়ে প্রায় তিনগুণ বিল দিতে হতো। অবশেষে হাবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম কামরুজ্জামানের হস্তক্ষেপে সমাধান হতে চলেছে সেই সমস্যার। বিষয়টি নিশ্চিত করেন হাবিপ্রবির ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ড. ইমরান পারভেজ।  

অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিলের সমাধানের ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে চাইলে হাবিপ্রবি ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক জানান,  উপাচার্য শুরু থেকেই শিক্ষার্থীদের সমস্যা খুবই আন্তরিকতার সঙ্গে আমলে নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। এর অংশ হিসাবে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন মেসের বিদ্যুৎ বিল আবাসিকভরনের মতো করে দেওয়ার চেষ্টা করছেন।  

এ ব্যাপারে মেস মালিকদেরকে দ্রুত সময়ের মাঝে পল্লীবিদ্যুৎ অফিসে আবাসিক বিদ্যুৎ এর জন্য আবেদন করতে হবে পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সরবরাহ করা তথ্য সংগ্রহের ফরমটি যথাযথভাবে পূরণ করে ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগে জমা দিতে হবে। এরপর সকল মেসের তথ্য যাচাই বাছাই করে পল্লীবিদ্যুৎ বিভাগে তথ্য সরবরাহ করবে হাবিপ্রবি প্রশাসন। আশা করা যাচ্ছে অল্প সময়ের মাঝেই শিক্ষার্থীরা এ সমস্যা থেকে রেহাই পাবে।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন মেস মালিক কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মামুনুর রশিদ বলেন,  ২০১২ সাল থেকে আকস্মিকভাবে পল্লীবিদ্যুৎ বিভাগ আমাদের মেসগুলোকে বাণিজ্যিকিকরণ করে দেয়। এতে করে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি মালিকরাও ভোগান্তিতে পড়েন।  
শিক্ষার্থীরা এই উদ্যোগের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান।  

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭,২০২১
এসআইএস
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।