ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ আশ্বিন ১৪৩১, ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৪ রবিউস সানি ১৪৪৬

শিক্ষা

নবীনদের বরণ করে নিল শাবিপ্রবি

শাবিপ্রবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৯ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০২২
নবীনদের বরণ করে নিল শাবিপ্রবি

শাবিপ্রবি (সিলেট): উৎসবমুখর পরিবেশে আর নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) ২০২০-২১ সেশনে ১ম বর্ষের নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ করে নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

রোববার (২০ মার্চ) সকাল ও বিকেল দুই সেশনে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে এ নবীনবরণ অনুষ্ঠিত হয়।

সকালে অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে ‘এ’ ইউনিটের ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের বরণ করে নেওয়া হয়।

এসময় ভর্তি কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. মুশতাক আহমদের সভাপতিত্বে এবং আর্কিটেকচার বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জান্নাত আরা দিলশাদ সঙ্গী ও মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রভাষক মো. সিয়ামুল বাশারের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে নবীন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, তোমাদের স্বপ্ন পূরণের জন্য আমরা সবাই পাশে আছি। শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধির জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। শিক্ষকসহ সবার সহযোগিতায় চার বছরের সেশনজট শূন্যের কোটায় নিয়ে এসেছি। আমরা করোনা মহামারিতেও শিক্ষাক্রম অব্যাহত রেখেছি। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে আমাদের অবস্থান প্রথম। বর্তমানে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে আমাদের অবস্থান তৃতীয়। শিক্ষাকার্যক্রম বাধাগ্রস্ত না হলে  আগামীতে আমরা প্রথম হব। এজন্য শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা প্রয়োজন।

তিনি আরও বলেন, তোমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর এখন স্বাধীন। তবে স্বাধীনতা মানে স্বেচ্ছাচারিতা নয়। স্বাধীনতার সঙ্গে কিছু বাধ্যবাধকতা থাকে। আমরা অবশ্যই স্বাধীনভাবে কাজ। তবে সবকিছুই শৃঙ্খলার মধ্যে হতে হবে। স্বাধীনতা পেয়ে আমরা সবাই যদি যেভাবে খুশি সেভাবে চলতে থাকি তাহলে দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি হবে।

আবাসনের বিষয়ে উপাচার্য বলেন, শিক্ষার্থীদের আবাসন সমস্যা সমাধানের জন্য আবাসিক হল নির্মাণের কাজ অব্যাহত রয়েছে। আগামী জুন মাসের মধ্যে সৈয়দ মুজতবা আলী হলে আরও ৫০০ ছাত্রের আবাসনের ব্যবস্থা হবে। আগামী তিন বছরের মধ্যে ছাত্রীদের জন্য আরও তিনটি হল নির্মাণ করা হবে। ফলে শতভাগ ছাত্রী আবাসিক সুবিধা পাবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা দিয়েছেন। কিন্তু আমরা এখনও অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জন করতে পারিনি। তোমাদের মেধা ও আমাদের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে আমরা সে মুক্তি অর্জন করব।  

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ভর্তি কমিটির সদস্য সচিব সহযোগী অধ্যাপক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল হোসাইনি। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন স্কুল অব ফিজিক্যাল সায়েন্সেস অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. রাশেদ তালুকদার, স্কুল অব অ্যাপ্লাইড সায়েন্সেস অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আরিফুল ইসলাম, স্কুল অব লাইফ সায়েন্সেস অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. কামরুল ইসলাম, স্কুল অব এগ্রিকালচার অ্যান্ড মিনারেল সায়েন্সেস অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রিদওয়ান।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা  পরিচালক আমিনা পারভীন, ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আবু হেনা পহিল, যৌন হয়রানি অভিযোগ কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. নাজিয়া চৌধুরী এবং রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ ইশফাকুল হোসেন। সকালের সেশনে নবীনদের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী অভিষেক দাস ও নাইলা নওশীন রহমান।

এদিকে বেলা আড়াইটায় ‘বি’ ইউনিটে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীর নবীনবরণ অনুষ্ঠিত হয়।

ভর্তি কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. মুশতাক আহমেদের সভাপতিত্বে এবং লোকপ্রশাসন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জোবায়দা গুলশান আরা এবং নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জাবেদ কাইছার ইবনে রহমানের সঞ্চালনায় এতেও প্রধান অতিথি ছিলেন ভিসি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল ইসলাম।

আরও বক্তব্য রাখেন স্কুল অব সোশ্যাল সায়েন্সের ডিন অধ্যাপক দিলারা রহমান, স্কুল অব ম্যানেজমেন্ট এন্ড বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের ডিন অধ্যাপক ড. মো. খায়রুল ইসলাম প্রমুখ। এসময় নবীন শিক্ষার্থীদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের শিক্ষার্থী পায়েল আহমেদ এবং অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী সোহাগী আক্তার।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৮ ঘণ্টা. ২০ মার্চ, ২০২২
এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।