ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

শিক্ষা

শাবিতে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে জারুল ফুল

হাসান নাঈম, শাবিপ্রবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৪৪ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০২২
শাবিতে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে জারুল ফুল শাবির ক্যাম্পাসে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে জারুল ফুল। ছবি: বাংলানিউজ

শাবিপ্রবি, (সিলেট): ‘তোমায় দিলাম অযুত জারুল ফুল, তোমায় দিলাম হিজল ফুলের বন, আমায় দিও একটুখানি ছায়া, একটু দিও শান্ত শীতল জল, তোমার জন্যে বুকের ভেতর তবু, সাত সাগরের অশ্রু টলমল’। বলছিলাম সবুজ পাতা, হালকা বাদামি বর্ণের বাকল আর ছয়টি মুক্ত পাপড়িতে গঠিত ও হলুদ রঙের পরাগবিশিষ্ট মায়াময় জারুল ফুলের কথা।

প্রতিবছর এপ্রিল থেকে জুন মাসে জারুল গাছে ফোটে এ ফুল। এ সময় বেগুনি রঙের দৃষ্টিনন্দন আভায় প্রায় সবাইকে বিমোহিত করে।  

এখন এমন দৃশ্যের দেখা মিলবে সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) ক্যাম্পাসে। প্রতিবছর এ সময়ে জারুল ফুলে মোড়ানো ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য উপভোগ করেন শিক্ষার্থীরা। অনেকে জারুল ফুল মাটি থেকে কুড়িয়ে নিয়ে বা গাছ থেকে ডাল ছিঁড়ে খোপায় গুঁজে নিজেদের সজ্জিত করেন। আবার কেউবা ছবি তুলে উপভোগ করেন সেই সব সৌন্দর্য। বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক দিয়ে এক কিলোমিটার রোড় ধরে ক্যাম্পাসের দিকে এগোলেই দেখা মিলবে রাস্তার দুই পাশে লেক ঘেরা গাছগুলোতে যেন থরে থরে সাজিয়ে রাখা হয়েছে জারুল ফুল। এসব আকর্ষণীয় ফুলের দিকে তাকালে মনে হয় যেনো আমি এখানকার চিরস্থায়ী বাসিন্দা, আমি কোনো আগন্তুক নই।

সোমবার (১৬ মে) সরেজমিনে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কিলোমিটার রোড়ের দুই পাশের লেকের পাড়ে, ভিসি বাংলোর সামনে, একাডেমিক ভবনগুলোর পাশে, ইউনিভার্সিটি সেন্টারের সামনে, শাহপরাণ হলের পাশে, কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে, বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবের সামনে, কেন্দ্রীয় মিলনায়তনের রাস্তাজুড়ে ছোট-বড় ও মাঝারি আকারের জারুল গাছগুলোতে ফুটেছে জারুল ফুল। এতে বেগুনির রঙের ফুলের আবরণে ক্যাম্পাসের সৌন্দর্যকে কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। জারুল সৌন্দর্য ছাড়াও একটি ওষুধি গাছ হিসেবে পরিচিত। এর বীজ, ছাল ও পাতা ডায়াবেটিস রোগের ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এছাড়াও জ্বর, অনিদ্রা, কাশি ও অজীর্ণতা মানব কল্যাণে জারুল উপকার সাধন করে গাছটি। একদিকে সৌন্দর্য আরেকদিকে ওষুধিগুণ। এমন নানাবিধ ভেষজ গুণসম্পন্ন উজ্জ্বল বেগুনি আভার জারুল ফুলের বাহারি পসরা যেন শাবির ক্যাম্পাসকে এনে দিয়েছে অপরূপ প্রাণের ছোঁয়া।

ক্যাম্পাসে হাঁটতে বেরিয়েছেন ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী আতাউর রহমার।

তিনি বাংলানিউজকে বলেন, স্নিগ্ধ সকাল হোক কিংবা তপ্ত দুপুর, অথবা হোক পড়ন্ত বিকেল এই গাছগুলো আমাদের ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য কয়েকগুণ বেড়েছে। যে কেউ এ রাস্তায় হাঁটলে আর গাছগুলোর দিকে তাকালে যেনো স্বর্গের রাজ্যে ফিরে পাবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পুর ও প্রকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী সাবরিনা জাহান বাংলানিউজকে বলেন, প্রকৃতির নিয়মে প্রতিবছরের মতো এবারও ক্যাম্পাসজুড়ে জারুল ফুল ফুটেছে। প্রায় সব ঋতুতে নতুন নতুন কিছু নিয়ে হাজির হয় আমাদের ক্যাম্পাস। যা সত্যি আমাদের মনকে বিমোহিত করে! বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি একটি যাতে আহ্বান পরিকল্পনা অনুযায়ী ক্যাম্পাসের সৌন্দর্যকে আরও বিকশিত করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১০৪৪ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০২২
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।