ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

শিক্ষাই হবে পরবর্তী মেগা প্রকল্প, খুবিতে শিক্ষামন্ত্রী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৩৭ ঘণ্টা, জুলাই ৪, ২০২২
শিক্ষাই হবে পরবর্তী মেগা প্রকল্প, খুবিতে শিক্ষামন্ত্রী

খুলনা: শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পদ্মা সেতুর মতো মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করে বিশ্বকে আমরা দেখিয়ে দিয়েছি ‘আমরাও পারি’। পদ্মা সেতু নতুন সম্ভাবনার দিগন্ত উন্মোচন করেছে।

তিনি বলেন, চলমান আরও কয়েকটি মেগা প্রকল্প কয়েক বছরের মধ্যে বাস্তবায়িত হলে দেশ অনেক এগিয়ে যাবে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবসহ বিশ্বময় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে যে পরিবর্তন ও অগ্রগতি হচ্ছে, তাতে আমরাও প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমরাও চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সফল অংশীদার হতে চাই। শিক্ষাক্ষেত্রে সফট স্কিল আমাদের সংস্কৃতির মধ্যেই ধারণ করতে মনোভাব স্থির করতে হবে। শিক্ষাক্ষেত্রে সামনে পরিবর্তনের বদলে রূপান্তর আসছে।

রোববার (৩ জুলাই) সন্ধ্যায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনের সাংবাদিক লিয়াকত আলী মিলনায়তনে বিজ্ঞান, প্রকৌশল ও প্রযুক্তিবিদ্যা স্কুল আয়োজিত ‘ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন এসটিইএম অ্যান্ড দ্য ফোর্থ ইন্ডাস্ট্রিয়াল রেভুল্যুশন’ শীর্ষক তিন দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ছাড়া জীবনকে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব নয়। নিজেদের উন্নয়নের জন্য প্রযুক্তি ব্যবহার জরুরি হয়ে পড়েছে। আমরা কেউই প্রযুক্তির বাইরে নই। প্রযুক্তি যেভাবে এগোচ্ছে আমাদেরও সেভাবে এগিয়ে যেতে হবে। এজন্য আমাদের উদ্ভাবন করতে হবে। উদ্ভাবনা ছাড়া আমরা এগোতে পারবো না। আমরাই উদ্ভাবন করতে চাই, আমরাই নেতৃত্ব দিতে চাই।

রাজধানী ঢাকার ধানমন্ডি থেকে পদ্মা সেতু পাড়ি দিয়ে সড়কপথে তিন ঘণ্টায় খুলনায় আসার অভিজ্ঞতা তুলে ধরে দীপু মনি বলেন, পদ্মা সেতু হলো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশপ্রেমের প্রতিচ্ছবি। তাঁর দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণে আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ পেয়েছি। এখন আমরা ২০৪১ সালের উন্নত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছি। ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে এখন আমরা ইনোভেটিভ বাংলাদেশ হতে চাই। আমরা সবাই এর সঙ্গী হবো।

তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় হলো জ্ঞান সৃষ্টির জায়গা। জ্ঞান সৃষ্টি করতে হলে গবেষণা করতে হবে। শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে পরীক্ষার ভীতি দূর করতে হবে।

দীপু মনি বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত আন্তর্জাতিক সম্মেলন চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে আমাদের প্রস্তুতি ও দিকনির্দেশনার ক্ষেত্রে বড় মাইলফলক। এটা আমাদের চিন্তার জগতে পরিবর্তন সূচিত করবে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এক্ষেত্রে মুখ্য ভূমিকা পালন করবে এবং ইন্ডাস্ট্রি-ইউনিভার্সিটি যৌথ উদ্যোগ ও গবেষণার ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তনে উৎসাহ জোগাবে।  

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন। চিফ প্যাট্রন হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন। প্যাট্রন হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোসাম্মাৎ হোসনে আরা।

সম্মেলন আয়োজক কমিটির সভাপতি বিজ্ঞান, প্রকৌশল ও প্রযুক্তিবিদ্যা স্কুলের ডিন প্রফেসর ড. আফরোজা পারভীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আয়োজক কমিটির সদস্য-সচিব প্রফেসর ড. মো. হায়দার আলী বিশ্বাস।

সমাপনী পর্বে সম্মেলনের আউটকাম বা ফলাফল তুলে ধরেন প্রফেসর ড. মো. আশিক উর রহমান। এছাড়া সমাপনী অনুষ্ঠানে ৪ জনকে ‘বেস্ট পেপার অ্যাওয়ার্ড’ ও একজনকে বিডি স্টিম বেস্ট স্টুডেন্ট পেপার অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়। সমাপনী পর্বে এই আন্তর্জাতিক সম্মেলনের রিফ্লেকশন অ্যান্ড ওয়ে ফরওয়ার্ড বিষয়ে উপস্থাপন করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ০০৩৭ ঘণ্টা, জুলাই ০৪, ২০২২
এমআরএম/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।