ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

শিক্ষা

জুয়েলের রেজিস্ট্রেশন কার্ডে সুমনার ছবি! 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১২৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২, ২০২২
জুয়েলের রেজিস্ট্রেশন কার্ডে সুমনার ছবি! 

ঠাকুরগাঁও: ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার বড় পলাশবাড়ী ইউনিয়নের মোড়লহাট জনতা উচ্চ বিদ্যালয়ের সব এসএসসি পরীক্ষার্থীর রেজিস্ট্রেশন কার্ডেই ভুল হয়েছে৷ 

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বোর্ডের ভুলের মাসুল গুণতে হচ্ছে পরীক্ষার্থীদের।  

ভুল সংশোধন করার জন্য প্রত্যেকজনের কাছে সংশোধনী ফি নেওয়া হচ্ছে।

টাকা না দিলে রেজিস্ট্রেশন কার্ড পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছে শিক্ষার্থীরা।
 
প্রধান শিক্ষকের দেওয়া তথ্য মতে, এবার প্রতিষ্ঠানটি থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ নিচ্ছে ১২৪ জন শিক্ষার্থী। পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য রেজিস্ট্রেশন কার্ডে সব শিক্ষার্থীর রেজিস্ট্রেশন কার্ডে ভুল এসেছে। ছেলে শিক্ষার্থীর রেজিস্ট্রেশন কার্ডে নাম ছেলের হলেও ব্যবহার করা হয়েছে মেয়ের ছবি। আর অধিকাংশ রেজিস্ট্রেশন কার্ডে নো ইমেজ দিয়ে ক্রস চিহ্ন দেওয়া হয়েছে। পরে আবার নতুন করে সংশোধনের জন্য বোর্ডে তথ্য পাঠাতে বলা হয়েছে। আর সংশোধন ফি বাবদ শিক্ষার্থীদের কাছে ২০০ করে টাকা চাওয়া হয়েছে।  
বোর্ড ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভুলের বোঝা বইতে নারাজ শিক্ষার্থীরা।  

এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানের পরীক্ষার্থী জুয়েল রানা বলে, আমার রেজিস্ট্রেশন কার্ডে আমার সহপাঠী সুমনার ছবি দেওয়া হয়েছে। ভুল হলো বোর্ড আর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের। এখন আমাদের কাছে সংশোধন ফি চাওয়া হচ্ছে। এটা কেম নিয়ম? তাদের ভুলের মাসুল আমরা কেন দেব।  

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ভুল করলেন তারা, অথচ আমাদের বলা হচ্ছে টাকা না দিলে রেজিস্ট্রেশন কার্ড দেওয়া হবে না৷ এটা কেমন কথা? আমরা এর সঠিক সমাধান চাই। আমরা কোনো টাকা পয়সা দিতে পারব না৷ 

মোড়লহাট জনতা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সোলায়মান আলী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমরা বোর্ডে পরীক্ষার্থীদের সব সঠিক তথ্য পাঠিয়েছি। বোর্ড ভুল করে আমাদের কাছে পাঠিয়েছে। এবার ১২৪ জন পরীক্ষার্থীর সবার রেজিস্ট্রেশন কার্ডে ভুল করেছে তারা। সংশোধনের জন্য আবার কাগজগুলো পাঠানো হয়েছে। আর বোর্ডে সংশোধনের জন্য ২০০ টাকা করে লাগে। সেটির জন্য পরীক্ষার্থীদের কাছে টাকা চাওয়া হয়। অনেকে দিয়েছে আর অনেকে দেয়নি৷ তবে সংশোধনীর নতুন রেজিস্ট্রেশন কার্ডগুলো আমাদের হাতে চলে এসেছে।  

বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেন বলেন, এমন কোনো খবর পাইনি। আর এখানে মাত্র কয়েকদিন হলো যোগদান করেছি। দ্রুত খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷ 

বাংলাদেশ সময়: ১১২০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২, ২০২২
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।