ঢাকা, শনিবার, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ০৪ মে ২০২৪, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫

নির্বাচন ও ইসি

গাজীপুর সিটি ভোটে জামানত কত, প্রার্থীদের তা জানাতে নির্দেশ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০২৩
গাজীপুর সিটি ভোটে জামানত কত, প্রার্থীদের তা জানাতে নির্দেশ

ঢাকা: আসন্ন গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র, সাধারণ কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে জামানত কত, তা প্রার্থীদের মাঝে প্রচার করার জন্য রিটার্নিং কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান নির্দেশনাটি রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে পাঠিয়েছেন।

 

এতে বলা হয়েছে, স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) নির্বাচন বিধিমালার ১৩ বিধি অনুসারে- 

(১) মেয়র নির্বাচনের ক্ষেত্রে প্রতিটি মনোনয়নপত্রের সঙ্গে অনধিক পাঁচ লাখ ভোটার সংবলিত নির্বাচনী এলাকার জন্য ২০ হাজার টাকা, পাঁচ লাখ এক থেকে ১০ লাখ ভোটার সংবলিত নির্বাচনী এলাকার জন্য ৩০ হাজার টাকা, ১০ লাখ এক থেকে ২০ লাখ ভোটার সংবলিত নির্বাচনী এলাকার জন্য ৫০ হাজার টাকা এবং ২০ লক্ষ এক ও তদূর্ধ্ব ভোটার সংবলিত নির্বাচনী এলাকার জন্য এক লাখ টাকা জমাদানের প্রমাণস্বরূপ ট্রেজারি চালান বা পে-অর্ডার বা কোনো তফসিলি ব্যাংকের রশিদ জমা দিতে হবে।

(২) কাউন্সিলর নির্বাচনের ক্ষেত্রে প্রতিটি মনোনয়নপত্রের সঙ্গে অনধিক ১৫ হাজার ভোটার সংবলিত ওয়ার্ডের জন্য ১০ হাজার টাকা, ১৫ হাজার এক থেকে ৩০ হাজার ভোটার সংবলিত ওয়ার্ডের জন্য ২০ হাজার টাকা, ৩০ হাজার এক থেকে ৫০ হাজার ভোটার সংবলিত ওয়ার্ডের জন্য ৩০ হাজার টাকা এবং ৫০ হাজার এক ও তদূর্ধ্ব ভোটার সম্বলিত ওয়ার্ডের জন্য ৫০ হাজার টাকা জমাদানের প্রমাণস্বরূপ ট্রেজারি চালান বা পে-অর্ডার বা কোনো তফসিলি ব্যাংকের রশিদ জমা দিতে হবে।

(৩) সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর নির্বাচনের ক্ষেত্রে প্রতিটি মনোনয়নপত্রের সঙ্গে ১০ হাজার টাকা জমাদানের প্রমাণস্বরূপ ট্রেজারি চালান বা পে-অর্ডার বা কোনো তফসিলি ব্যাংকের রসিদ জমা দিতে হবে। তবে শর্ত থাকে যে, কোনো প্রার্থীর অনুকূলে একাধিক মনোনয়নপত্র দাখিল হলে একাধিক জামানতের প্রয়োজন হবে না।

নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে রিটার্নিং অফিসার জমাকৃত জামানতের অর্থ ৭ (সাত) কার্যদিবসের মধ্যে সরকারি ট্রেজারিতে জমা দেবেন। রিটার্নিং অফিসার বা কোনো প্রার্থীর টাকা জমাদানের খাত হলো-  ৬/০৬০১/০০০১/৮৪৭৩।

নির্ধারিত সময়ে জামানতের টাকা সরকারি ট্রেজারিতে জমা দেওয়া পূর্বক এর একটি হিসাব বিবরণী নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে পাঠাতে হবে।

বিধি-বিধানের আলোকে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে ১০ হাজার টাকা এবং ভোটার সংখ্যার ভিত্তিতে মেয়র ও সাধারণ আসনের কাউন্সিলর পদে জামানতের অর্থ নির্ধারণপূর্বক রিটার্নিং অফিসার স্থানীয়ভাবে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে প্রচার করবেন।

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ৫৭টি ওয়ার্ডে মোট ভোটার ১১ লাখ ৮৪ হাজার ৩৬৩ জন। ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, আগামী ২৫ মে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এতে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ২৭ এপ্রিল, মনোনয়ন বাছাই ৩০ এপ্রিল, রিটার্নিং কর্মকর্তার বাছাইয়ের বিরুদ্ধে আপিল ২ থেকে ৪ মে, আপিল কর্তৃপক্ষ কর্তৃক আপিল নিষ্পত্তি ৫ থেকে ৭ মে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ৮ মে এবং প্রতীক বরাদ্দ ৯ মে।

এই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটগ্রহণ হবে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এতে সিসি ক্যামেরা ব্যবহার করা হবে। ভোটগ্রহণ করা হবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম)।

গাজীপুর সিটি করপোরেশনে সর্বশেষ ভোট হয় ২০১৮ সালের ২৭ জুন। নির্বাচিত করপোরেশনের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয় ২০১৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর। পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনের সময় গণনা শুরু হয় ২০২৩ সালের ১১ মার্চ। আর ভোটগ্রহণ করতে হবে আগামী ১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে। কেননা, আইন অনুযায়ী, ভোটগ্রহণ করতে হবে মেয়াদ শেষ হওয়ার আগের ১৮০ দিনের মধ্যে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০২৩

ইইউডি/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

নির্বাচন ও ইসি এর সর্বশেষ