গাজীপুর: গাজীপুর সিটি করপোরেশন (গাসিক) নির্বাচনে আচরণ বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে মেয়র প্রার্থী জায়েদা খাতুন ও তার ছেলে জাহাঙ্গীর আলমের প্রচারে বাধা দিয়েছে পুলিশ। প্রায় দুই ঘণ্টা তাদের প্রচারের গাড়ি আটকে রাখা হয়।
এসময় গাজীপুর জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট উপস্থিত ছিলেন। পরে তিন কর্মীকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শনিবার (১৩ মে) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত কোথাও প্রচার-প্রচারণায় বের হননি জাহাঙ্গীর আলমের মা জায়েদা খাতুন। গাজীপুরের ছয়দানা এলাকার বাড়ি থেকে বিকেল ৪ টার দিকে বের হয়ে টঙ্গীর বিভিন্ন এলাকায় প্রচার চালান। সেখানে গণসংযোগ করতে করতে স্থানীয় মীরের বাজার এলাকায় যান। তখন জাহাঙ্গীর ও তার মায়ের উপস্থিতির কথা শুনে আশপাশের এলাকার শত শত বাসিন্দা জড়ো হন। পরে জাহাঙ্গীর আলম সবার উদ্দেশ্যে মায়ের জন্য ভোট চান। এসময়ে আচরণ বিধি ভঙ্গের অভিযোগে পূবাইল থানা পুলিশ তাদের বাধা দেয়। পরে জাহাঙ্গীর ও তার মা গাড়ি নিয়ে পূবাইল রেলগেট এলাকায় পৌঁছালে গাজীপুরের নির্বাহী ম্যাজিষ্টেট আবু বকর ও পুলিশ তাদের আবারো গতিরোধ করে। পরে নির্বাহী ম্যাজিষ্টেট ও পুলিশ তাদের অতিরিক্ত লোকজন ও মোটরসাইকেল নিয়ে প্রচার চালাতে নিষেধ করে। এসময় আচরণ বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে টেবিল ঘড়ি প্রতীকের তিন কর্মীকে ১লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমি আচরণ বিধি লঙ্ঘন করিনি। প্রচারের সময় আমার কথা শুনে শত শত মানুষ ছুটে এসেছে। এখানে আমার কোনো দোষ নেই।
প্রশাসনের কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমি মায়ের প্রধান সমন্বয়কারী। এ জন্য মাকে নিয়ে নির্বাচনের প্রচারে বের হয়েছি। আমার পেছনে যদি নগরবাসী তাদের ব্যাক্তিগত মোটরসাইকেল, জিপ নিয়ে আসে সে ক্ষেত্রে আমার কী করনীয়?
পূবাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল ইসলাম জানান, জাহাঙ্গীর আলম সেখান থেকে চলে গেলে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট তিনজনকে আটক করে এক লাখ টাকা জরিমানা করেন। এছাড়া তার প্রচারে কোথাও বাধা সৃষ্টি করা হয়েছে বলে জানা নেই।
অপর দিকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী এমএম নিয়াজ উদ্দিন সকাল থেকে শহরের রাজবাড়ি রোড, চাউল ও মাছ বাজার, স্বর্ণপট্টি, বাসস্ট্যান্ড, শিমুলতলী, লক্ষ্মীপুরা, নেয়ামত সড়ক এলাকা দিয়ে গণসংযোগ ও পথসভা করে ভোট চান। আর ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী গাজী আতাউর রহমান কর্মী সমর্থক নিয়ে কাশিমপুর, বাগাবাড়ি, মাধবপুর, কাজি মার্কেট এলাকায় গণসংযোগ ও প্রচরণা চালায়।
গাসিক নির্বাচনে ৫৭টি ওয়ার্ডে ৪৮০টি ভোট কেন্দ্র ৩ হাজার ৪৯৭টি ভোট কক্ষ থাকবে। এই সিটিতে মোট ভোটার ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৪৭৬ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ৫ লাখ ৯২ হাজার ৭৬২ জন এবং নারী ভোটার ৫ লাখ ৮৬ হাজার ৬৯৬ জন। এ নির্বাচনে ৪৮০ জন প্রিজাইডিং অফিসার, ৩ হাজার ৪৯৭ জন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ও ৬ হাজার ৯৯৪ জন পোলিং অফিসারসহ ১০ হাজার ৯৭১ জন ভোট গ্রহণকারী কর্মকর্তা থাকবেন। ভোট গ্রহণ হবে আগামী ২৫ মে।
বাংলাদেশ সময়: ২৩৫৩, মে ১৩, ২০২৩
আরএস/এমএমজেড