ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

‘সরকারের সদিচ্ছা না থাকলে নিরপেক্ষ নির্বাচন করা কঠিন’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪৯ ঘণ্টা, মে ১৫, ২০২৩
‘সরকারের সদিচ্ছা না থাকলে নিরপেক্ষ নির্বাচন করা কঠিন’

ঢাকা: সরকারের যদি রাজনৈতিক সদিচ্ছা না থাকে তবে নির্বাচন কমিশনের একার পক্ষে এককভাবে অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন করা কঠিন বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেন, আমরাও স্বীকার করেছি এবং আমরাও জোর দিয়ে বলেছি—আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যে সরকার বিদ্যমান থাকবে, রাজনৈতিক সদিচ্ছা অবশ্যই প্রয়োজন হবে।

সোমবার (১৫ মে) জাতীয় পার্টির (জাপা) একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি এমন মন্তব্য করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার।

তিনি বলেন, সভাটা অনেকটা সৌজন্যমূলক ও নির্বাচন বিষয়ক। ওনারাই সাক্ষাৎ চেয়েছিলেন।  জাপার মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু অবাধ, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের কথা জানিয়ে আমাদের বলেছেন, ওনারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন। এজন্য আমরা ওনাদের ধন্যবাদ দিয়েছি। আমরা বলেছি—নির্বাচন যতটা প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হবে ততই অধিকতর অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে। নির্বাচনটা প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হওয়া বাঞ্ছনীয়। এর মাধ্যমেই নির্বাচনে এক ধরনের ভারসাম্য গড়ে ওঠে, যার ফলে কাঙ্ক্ষিত অবাধ-নিরপেক্ষ নির্বাচন তার উদ্দেশ্য অনেকটা অর্জিত হয়ে থাকে।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার আরও বলেন, এটাও ওনারা বলেছেন, আমরাও স্বীকার করেছি যে, এটা গ্রাউন্ড রিয়েলিটি। সরকারের যদি রাজনৈতিক সদিচ্ছা না থাকে তবে নির্বাচন কমিশনের একার পক্ষে এককভাবে অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন করা কঠিন। আমরাও স্বীকার করেছি এবং আমরাও জোর দিয়ে বলেছি—আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যে সরকার বিদ্যমান থাকবে, রাজনৈতিক সদিচ্ছা অবশ্যই প্রয়োজন হবে। আমরা বলেছি নির্বাচন কমিশন এককভাবে কখনোই একটি অবাধ, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করতে পারবে না, যদি সংশ্লিষ্ট সবাই প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলো এবং একইসঙ্গে সরকারের যে প্রশাসন, পুলিশ আন্তরিকভাবে সহযোগিতা না করে। এতে নির্বাচন কমিশনের যে দক্ষতা ও কর্মক্ষমতা তা সীমিত হয়ে পড়তে পারে। এটা আমরা ওনাদের বলেছি।

কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ইভিএমে সংসদ নির্বাচন হচ্ছে না, এতে ওনারা খুশি। তবে এতে অনেক কিছু আছে বলেছেন, আমরা তা মেনে নিইনি। আমরা বলেছি, তাহলে ১৮ সালের নির্বাচনে কোনো অনিয়ম হয়নি। কারণ সেটা ইভিএমে নয়, ব্যালটে হয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি, ব্যালটে নির্বাচন হলে কোনো অনিয়ম হবে না। যেমন ১৮ সালেও হয়নি, আগামীতেও হবে না। ব্যালটে হোক আর ইভিএমে হোক আমরা চেষ্টা করবো নির্বাচনটা যাতে শুদ্ধ হয়।

পাঁচ সিটিতে সুষ্ঠু ভোটের শঙ্কা জাপার। সরকারি দলের প্রার্থীরাই আচরণবিধি লঙ্ঘন করছে বেশি, সরকারের সহায়তা পাবেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পর সরকারের তরফ থেকে কোনো নির্বাচনে হস্তক্ষেপ পাইনি। এটি হচ্ছে জাতীয় নির্বাচনের জন্য প্রশাসনের যে সহায়তা এখন পর্যন্ত যা পেয়েছি ওনারা যদি একটা নিউট্রাল অবস্থানে থাকেন তাহলে আমাদের পক্ষে নির্বাচন ভালোভাবে করা সম্ভব হবে। আমাদের তরফ থেকে সরকারের ওপর চাপটা থাকবে। নেগেটিভ কোনো বিষয় যদি আমরা দেখি যে ঐক্যমত হয়েছে, তাহলে আমরা বিষয়টি দেখবো।

আরও পড়ুন:
‘লোম বাছতে গিয়ে কম্বল উজাড়’ করতে চান না সিইসি

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৫ ঘণ্টা, মে ১৫, ২০২৩
ইইউডি/আরবি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।