ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

বিসিসি নির্বাচন: কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মারামারিতে আহত ১০

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১০২ ঘণ্টা, জুন ৩, ২০২৩
বিসিসি নির্বাচন: কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মারামারিতে আহত ১০

বরিশাল: নগরের ১০ নম্বর ওয়ার্ডে দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।

শুক্রবার (০২ জুন) রাত ৮টার দিকে নগরের বান্দরোডস্থ সাউথ কিং-এর সামনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর উঠান বৈঠকস্থলে এ ঘটনা ঘটে।

বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. মিরাজ জানান, বান্দরোডের ওই ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। তাদের মধ্যে কেউ গুরুতর আহত হয়েছে এমন কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে রিপন, নুর জামাল, সানি, এনা, সিদ্দিক, ফরিদা বেগম, হেপি বেগম, লাবনী, রেশমা, সুমন ও রিয়াজ। এর মধ্যে রেশমা, সুমন ও রিয়াজ কাউন্সিলর প্রার্থী এটিএম শহীদুল্লাহ কবিরের কর্মী। অন্যরা অপর প্রার্থী জয়নাল আবেদীনের কর্মী।

কোতয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, সাউথ কিং চাইনিজ রেস্তোরার পাশে নৌকার উঠান বৈঠক ছিল। সেখানে মারামারি হয়েছে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীর জানান, উঠান বৈঠকের স্টেজে ১০ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাময়িকভাবে বরখাস্ত হওয়া সাধারণ সম্পাদক ও কাউন্সিলর প্রার্থী জয়নালের সমর্থক শেখর দাস উঠতে চায়। তখন স্টেজে থাকা শহীদুল্লাহ কবিরের কর্মীরা তাকে উঠতে দেয়নি। এ নিয়ে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে তর্কাতর্কি হয়। এক পর্যায়ে দুই পক্ষের কর্মীরা হাতাহাতি, মারামারি ও চেয়ার ছোড়াছুড়ি শুরু করে। পুলিশ এসে পরিস্থিতি শান্ত করেছে।

কাউন্সিলর প্রার্থী জয়নাল আবেদিন বলেন, নৌকা প্রতীকের উঠান বৈঠকে মিছিল সহকারে যাওয়ার পর অপর কাউন্সিলর প্রার্থী এটিএম শহিদুল্লাহ কবিরের সমর্থকরা হামলা করেন। এতে আমার ছয়জন কর্মী গুরুতর আহত হয়েছেন।

এদিকে এটিএম শহিদুল্লাহ কবির বলেন, ঘটনা ঘটার সময় আমি সেখানে ছিলাম না। আমি লোক মারফর বিষয়টি জানতে পারি। কাউন্সিলর প্রার্থী জয়নাল আবেদীন ও তার সমর্থকরা স্টেজে উঠাকে কেন্দ্র করে আমার ও আমার সমর্থকদের উপর হামলা করে। এ ঘটনায় তার তিনজন কর্মী আহত হয়েছেন। তিনি থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়ার কথা জানিয়েছেন।

নৌকা প্রতীকের নির্বাচন সমন্বয়কারী ও বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট আফজালুল করিম সাংবাদিকদের বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে উঠান বৈঠক করছিলাম। এক কাউন্সিলর প্রার্থী মিছিল নিয়ে আসার পরেই এমন ঘটনা ঘটেছে। কেন এ ঘটনাটি ঘটেছে আমরা ও পুলিশ তদন্ত করছি। যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তারা নৌকার বন্ধু না শত্রু  এটাই ক্লিয়ার নয়। বিষয়টি আমরা গভীরভাবে দেখছি।

বাংলাদেশ সময়: ১১০২ ঘণ্টা, জুন ০৩, ২০২৩
এমএস/এসআইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।