ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

সিসিকের নতুন মেয়র আওয়ামী লীগের আনোয়ারুজ্জামান

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০৮ ঘণ্টা, জুন ২১, ২০২৩
সিসিকের নতুন মেয়র আওয়ামী লীগের আনোয়ারুজ্জামান বেসরকারিভাবে নির্বাচিত আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। ছবি: মাহমুদ হোসেন

সিলেট: সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) পঞ্চম নির্বাচনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে মেয়র পদে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ও যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী।  

বুধবার (২১ জুন) রাত ৯টায় ১৯০টি কেন্দ্রের ভোটের ফলে তাকে বেসরকারিভাবে সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সিলেটের আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসার ফয়সাল কাদের।

এর আগে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।

ঘোষিত ফলে ১৯০টি কেন্দ্রে আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ১ লাখ ১৯ হাজার ৯৯১ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবুল পেয়েছেন ৫০ হাজার ৮৬২ ভোট। আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী ৬৫ হাজার ৫১৯ ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হয়েছেন।  

কার কত ভোট

আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী (নৌকা) ১ লাখ  ১৯ হাজার ৯৯১ ভোট।

প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবুল (লাঙ্গল) ৫০ হাজার ৮৬২ ভোট।

স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ শাহ জাহান মিয়া (বাস) ২৯ হাজার ৬৮৮ ভোট।  

ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মাহমুদুল হাসান (হাতপাখা) ১২ হাজার ৭৯৪ ভোট।  

স্বতন্ত্র  আব্দুল হানিফ কুটু (ঘোড়া) ৪ হাজার ২৯৬ ভোট।  

মোহাম্মদ ছালাউদ্দিন রিমন (ক্রিকেট ব্যাট) ২ হাজার ৬৪৮ ভোট।  

স্বতন্ত্র জহিরুল আলম (গোলাপ ফুল) ৩ হাজার ৪০৫ ভোট।  

তবে আগেই ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাওলানা মাহমুদুল হাসান ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন।

সংরক্ষিত ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ৮৭ জন এবং সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ২৭২ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।

সিলেট সিটি করপোরেশনের ৪২টি ওয়ার্ডে ১৯০টি কেন্দ্রের ১ হাজার ৩৬৪টি কক্ষে ভোট দেন ৪২টি ওয়ার্ডের ৪ লাখ ৮৭ হাজার ৭৫৩ জন ভোটার।  

এসব কেন্দ্রে ভোটগ্রহণের দায়িত্বে ছিলেন ১৯০ জন প্রিজাইডিং অফিসার, ১ হাজার ৩৬৭ জন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার এবং ২ হাজার ৭৩৪ জন পোলিং অফিসার।  

কেন্দ্রগুলোতে স্থাপিত ১ হাজার ৭৪২টি সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে ভোটের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেছে নির্বাচন কমিশন।


নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে ২ হাজার ৬০০ পুলিশ সদস্যের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিট কাজ করছে। ৪২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ৭ জন বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করেছেন।

বাংলাদেশ সময়: ২১৪৬ ঘণ্টা, জুন ২১, ২০২৩
এনইউ/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।