ঢাকা, রবিবার, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, ০৫ মে ২০২৪, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫

নির্বাচন ও ইসি

সাবেকদের পরামর্শ নিতে বুধবার বৈঠক করবে ইসি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩, ২০২৩
সাবেকদের পরামর্শ নিতে বুধবার বৈঠক করবে ইসি

ঢাকা: সাবেক নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কর্মকর্তা, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের পরামর্শ নিতে আগামীকাল বুধবার (৪ অক্টোবর) বৈঠকে বসছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এতে জেলা পর্যায়ের রাজনৈতিক নেতাদের সংযুক্ত করবে সংস্থাটি।

তারা কেবল বক্তব্য শুনবেন প্রোজেক্টরের মাধ্যমে।

ইসির জনসংযোগ শাখার পরিচালক মো. শরিফুল আলম জানিয়েছেন, নির্বাচন কমিশন ‘অবাধ ভোটাধিকার, প্রার্থী ও পোলিং এজেন্টদের ভূমিকা’ বিষয়ে এক দিনের একটি কর্মশালা আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কর্মশালাটি আগামী ৪ অক্টোবর বেলা ১১টায় নির্বাচন ভবনের সম্মেলন কক্ষে (কক্ষ নং-৫২০) অনুষ্ঠিত হবে। এ কর্মশালাটিতে জুম অ্যাপের মাধ্যমে সব আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও সিনিয়র জেলা/জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের সংযুক্ত করা হবে।

অনুষ্ঠানটি জেলা নির্বাচন অফিসের সম্মেলন কক্ষে প্রোজেক্টরের মাধ্যমে সম্প্রচার এবং সংশ্লিষ্ট জেলায় বিদ্যমান নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলসমূহের একজন করে প্রতিনিধির উপস্থিত থাকার জন্য আমন্ত্রণ জানানোর সিদ্ধান্ত দিয়েছে কমিশন। কর্মশালায় সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি), নির্বাচন কমিশনার (ইসি), সাবেক নির্বাচন কর্মকর্তা, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকরা অংশ নেবেন।

এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আহসান হাবিব খান বলেছেন, বৈঠকের আলোচ্য বিষয়ের মধ্যে রয়েছে নির্বাচনে অনিয়ম ও কারচুপি রোধে প্রার্থীর পক্ষে পোলিং এজেন্টের ভূমিকা কী হতে পারে; পোলিং এজেন্ট তার প্রার্থীর পক্ষে আইন ও বিধি অনুযায়ী কীভাবে দায়িত্ব পালন করে পোলিংকে স্বচ্ছতার রূপ দিয়ে নির্বাচন কীভাবে প্রভাবমুক্ত রাখতে পারে; নির্বাচনের ফলাফলে জনমতের প্রকৃত প্রতিফলন ঘটিয়ে কীভাবে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করিয়ে আনতে পারেন; প্রার্থী কী ধরনের পোলিং এজেন্ট নিয়োগ করবেন এবং কীভাবে তাকে দায়বদ্ধ করবেন।

তিনি বলেন, প্রার্থীর প্রতিনিধি হিসেবে একজন পোলিং এজেন্ট থাকে। পোলিং এজেন্ট যদি সেখানে সঠিকভাবে দায়িত্বপালন করে, তাহলে কি সেখানে কোনো অনিয়ম হতে পারে? পোলিং অফিসাররা যদি সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করে তাহলে কিন্তু কেউ অনিয়ম করতে সাহস পায় না। এ রকম সবাই যদি সহযোগিতা করে তাহলে কিন্তু একটি অবাধ, স্বচ্ছ নির্বাচন করা সম্ভব।

কর্মশালায় আলোচক হিসেবে থাকার কথা রয়েছে যাদের, এদের মধ্যে রয়েছেন- সাবেক সিইসি ড. এটিএম শামছুল হুদা, সাবেক নির্বাচন কমিশনার মো. শাহনেওয়াজ ও বেগম কবিতা খানম।

ইসির সাবেক অতিরিক্ত সচিব জেসমিন টুলী, যুগ্ম সচিব মো. নুরুজ্জামান তালুকদার ও খোন্দকার মিজানুর রহমান। জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক আমাদের নতুন সময়ের সম্পাদক নাঈমুল ইসলাম খান, গ্লোবাল টিভির সম্পাদক ইশতিয়াক রেজা ও একুশে টেলিভিশনের সিইও পীযুশ বন্দ্যোপাধ্যায়।

আলোচক হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক হারুন অর রশিদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের প্রফেসর ড. এস এম শামীম রেজার।

গত ১৩ সেপ্টেম্বর সুধীজনদের নিয়ে ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: প্রত্যাশা ও বাস্তবতা’ শীর্ষক কর্মশালার আয়োজন করেছিল ইসি।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করার আপাতত কোনো চিন্তা নেই বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর। রোডম্যাপ অনুযায়ী আগামী নভেম্বরের প্রথমার্ধে তফসিল দিয়ে ডিসেম্বরের শেষ থেকে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যে নির্বাচনের ভোটগ্রহণ করবে ইসি।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩, ২০২৩
ইইউডি/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।