ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বাড়াতে ৩৭ কোটি টাকার প্রকল্প নিল ইসি

ইকরাম-উদ দৌলা, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৪৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০২৩
প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বাড়াতে ৩৭ কোটি টাকার প্রকল্প নিল ইসি

ঢাকা: নির্বাচনে প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বাড়াতে ৩৭ কোটি টাকার নতুন একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। প্রকল্পের অর্থের জোগান আসবে সরকারি তহবিল থেকে।

ইসি সূত্রগুলো থেকে জানা গেছে, ‘নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় আইসিটি ব্যবহারে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সক্ষমতা বৃদ্ধি’ শীর্ষক প্রকল্পের পরিচালক করা হয়েছে ইসির প্রশাসন ও অর্থ শাখার যুগ্ম সচিব মো. মনিরুজ্জামান তালুকদারকে।  

এছাড়া পরিকল্পনা, উন্নয়ন ও প্রকাশনা শাখার উপপ্রধান মুহাম্মদ মোস্তফা হাসানকে উপপ্রকল্প পরিচালক এবং সিনিয়র সহকারী প্রধান মো. রাজীব আহসানকে সহকারী প্রকল্প পরিচালক পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

চিফ অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড ফিন্যান্স অফিসারকে পাঠানো এ সংক্রান্ত প্রশাসনিক আদেশ থেকে জানা গেছে, প্রকল্পের মেয়াদ ধরা হয়েছে ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে ২০২৬ অক্টোবর পর্যন্ত।

সিনিয়র সহকারী প্রধান মো. রাজীব আহসানের পাঠানো প্রশাসনিক আদেশ থেকে আরো জানা গেছে, ৩৭ কোটি ৫ লাখ ৩৮ হাজার টাকার প্রকল্পের ব্যয়ের খাত রাখা হয়েছে ৪০টি। এগুলোর মধ্যে রয়েছে, নিবন্ধন ফি, যানবাহন নিবন্ধন, নবায়ন, ট্যাক্স টোকেন, ফিটনেস, প্রশিক্ষণ, পেট্রোল, অয়েল ও লুব্রিকেন্ট, ভ্রমণ ব্যয়, কম্পিউটার সামগ্রী, মুদ্রণ ও বাঁধাই, স্ট্যাম্প ও সিল, অন্যান্য মনিহারি, সম্মানী, মোটরযান মেরামত ও সংরক্ষণ, আসবাবপত্র মেরামত ও সংরক্ষণ, কম্পিউটার মেরামত ও সংরক্ষণ, অফিস সরঞ্জামাদি মেরামত ও সংরক্ষণ, কম্পিউটার ও আনুষঙ্গিক, অফিস সরঞ্জামাদি আসবাবপত্র।

এছাড়া অন্যান্য যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জামাদি, কম্পিউটার সফটওয়্যার, মূল বেতন (কর্মকর্তা), শিক্ষা ভাতা, বাড়ি ভাড়া ভাতা, চিকিৎসা ভাতা, উৎসব ভাতা, অধিকাল ভাতা, শ্রান্তি ও বিনোদন ভাতা, বাংলা নববর্ষ ভাতা, যাতায়াত ভাতা, টিফিন ভাতা, বিশেষ সুবিধা, আপ্যায়ন ব্যয় হায়ারিং চার্জ যানবাহন ব্যবহার (চুক্তিভিত্তিক), সেমিনার, কনফারেন্স ব্যয়, উপযোগ সেবা (Utility service) চার্জ, কুরিয়ার, ইন্টারনেট, ফ্যাক্স, টেলেক্স, প্রচার ও বিজ্ঞাপন ব্যয়, বইপত্র ও সাময়িকী এবং আউটসোর্সিং খাতগুলোও প্রকল্পে রাখা হয়েছে।

খাতগুলোর মধ্যে ১৯ কোটি ৮৬ লাখ ১৭ হাজার টাকার সবচেয়ে বেশি ব্যয় ধরা হয়েছে প্রশিক্ষণের পেছনে। এছাড়া বড় ব্যয় ধরা হয়েছে সেমিনার, আউটসোর্সিং এবং অন্যান্য যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জামাদি খাতে।

বর্তমানে নির্বাচন কমিশন কার্ড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম, ফলাফল ব্যবস্থাপনা সিস্টেম, স্মার্ট নির্বাচনী ব্যবস্থাপনা অ্যাপ, অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিলের সিস্টেম, ইলেকট্রনিক ভোটিং সিস্টেম, এনআইডি সার্ভার প্রভৃতি ক্ষেত্রে প্রযুক্তির সহায়তা নেয়।

বাংলাদেশ সময়: ১১৪১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০২৩
ইইউডি/এসআইএস 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।