ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

বগুড়া-৩: লাঙ্গল প্রার্থীর প্রচারণায় আ. লীগ নেতা-কর্মীরা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট     | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩, ২০২৪
বগুড়া-৩: লাঙ্গল প্রার্থীর প্রচারণায় আ. লীগ নেতা-কর্মীরা

বগুড়া: বগুড়া-৩ (দুপচাঁচিয়া-আদমদীঘি) আসনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি (জাপা) মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম তালুকদারের নির্বাচনী প্রচারণায় মাঠে রয়েছেন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা।

বুধবার (৩ জানুয়ারি) দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত আদমদীঘি উপজেলার ছাতিয়ানগ্রাম বাজার এলাকায় লাঙ্গল প্রতীক প্রার্থী নুরুল ইসলাম তালুকদারের সঙ্গে উপস্থিত থেকে ভোট চেয়ে গণসংযোগ করেন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীসহ তার সমর্থকরা।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়ার সাতটি আসনের মধ্যে তিনটি আসন (বগুড়া-২, বগুড়া-৩ ও বগুড়া-৪) ১৪ দলীয় জোটের শরিক জাসদ ও মিত্র দল জাপার জন্য ছেড়ে দেওয়া হয়। এ কারণে বগুড়া-৩ আসনে জাপার প্রার্থী দুইবারের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম তালুকদারকে বিজয়ের লক্ষ্যে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে লাঙ্গলে প্রচারণাসহ ভোট চাচ্ছেন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা।

প্রচারণার অংশ হিসেবে বুধবার দুপুরে আদমদীঘি উপজেলার ছাতিয়ানগ্রাম বাজার এলাকায় লাঙ্গলের প্রার্থী নুরুল ইসলাম তালুকদারের সঙ্গে উপস্থিত থেকে ভোট চেয়ে গণসংযোগ করেন জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান আশরাফুল ইসলাম মন্টু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও ইউপি চেয়ারম্যান নাহিদ সুলতানা তৃপ্তি, ছাতিয়ানগ্রাম ইউপির সাবেক প্যানেল চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি সুলতান আহমেদ।  

এছাড়া উপস্থিত ছিলেন আদমদীঘি উপজেলা জাপার সভাপতি এন এইচ মিলন, দুপচাঁচিয়া উপজেলা জাপার সাধারণ সম্পাদক এস এম সাহিদসহ জাপা, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের একাংশের নেতা-কর্মীরা।

জাপার লাঙল প্রতীকের প্রার্থী অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম তালুকদার বলেন,  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই আসনে নৌকার প্রার্থীকে প্রত্যাহার করে নিয়ে আমাকে সমর্থন দিয়েছেন। ধীরে ধীরে আওয়ামী লীগের সবাই আমার পক্ষে আসছেন। আগামী ৭ জানুয়ারির আগে সবাই লাঙ্গলের পক্ষে আসবে বলে আমার প্রত্যাশা। আমাকে ভোট দেওয়া মানে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করা।

তিনি বলেন, আমি পরপর দুইবারের এমপি। কিন্তু আমার দলের লোকজন কোথাও চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী এবং কাউকে হয়রানি করেননি। আমি অসংখ্য রাস্তা-ঘাট, কালভার্ট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ, মন্দিরসহ বিভিন্ন ক্লাবে অনুদান দিয়েছি। এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন করেছি। এই উন্নয়ন দেখে মানুষ আমাকে ভোট দেবে। সেই সঙ্গে এবার নির্বাচিত হলে বেকার সমস্যা দূরীকরণে ক্ষুদ্র শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলবো।

জানা গেছে, বগুড়া-৩ আসনের দুপচাঁচিয়ায় ধাপ নিমতলা থেকে কাথালী দক্ষিণ পাড়া, ভালী থেকে হরিনগাড়ী, কাথহালী থেকে ভালী, কোলগ্রাম রাস্তাসহ দুপচাঁচিয়া উপজেলার প্রায় ৮০টির বেশি রাস্তা নির্মাণ ও সংস্কার করেছেন সংসদ সদস্য নুরুল ইসলাম তালুকদার। এছাড়া আদমদীঘি উপজেলার গ্রামীণ রাস্তাসহ প্রায় ৭০টি রাস্তার উন্নয়ন কাজ সম্পন্ন হয়েছে।

এ আসনের দুই উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ শিক্ষার মান উন্নয়নে কাজ করেছেন তিনি। নিয়মিত বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মনিটরিং করে শিক্ষার পরিবেশ উন্নত করেছেন। স্কুল কলেজের পাশাপাশি মাদরাসা শিক্ষার মান উন্নয়নে কাজ করেছেন। তিনি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সুধি সমাবেশে অংশ নিয়ে উন্নয়ন কাজ উদ্বোধন করেন। আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির সুফল শিক্ষার্থীদের মধ্যে পৌঁছে দিতে আইসিটি ভবন নির্মাণ, শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন করতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন।

দুপচাঁচিয়া উপজেলার বড়নিলাহালী বেড়াগ্রাম কলেজ, কোলগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়, উনাহত সিংড়া হাইস্কুল ও মাদরাসা, তালোড়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, আলতাফনগর মোহাম্মদ আলী উচ্চ বিদ্যালয়, চাপাপুর জালাল উদ্দিন ডিগ্রি কলেজ, কুন্দগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ভবন নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে সংসদ সদস্য নুরুল ইসলাম তালুকদারের নেতৃত্বে।

বগুড়া-৩ (দুপচাঁচিয়া-আদমদীঘি) আসনের দুই উপজেলার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ জানান, বর্তমান সরকারের উন্নয়নমূলক কার্যক্রম তদারকি করে গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন নিশ্চিত করেছেন জাপার নেতা অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম তালুকদার। তার নেতৃত্বে সরকারি বরাদ্দ সুষ্ঠুভাবে বন্টন করে উন্নয়ন নিশ্চিত হয়েছে। এতে করে প্রত্যন্ত অঞ্চলে পৌঁছে গেছে উন্নয়নের সুফল।

সন্ত্রাস, নৈরাজ্য, মাদকসহ সামাজিক অপরাধ নির্মূল করতে তারা কাজ করেছেন। উন্নয়ন এগিয়ে নেওয়াসহ শান্তি প্রতিষ্ঠায় তিনি নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। আগামী নির্বাচনে এই দুই উপজেলার উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম তালুকদার এমপির বিকল্প নেই।

উল্লেখ্য, জাতীয় নির্বাচনে বগুড়া-৩ (আদমদীঘি-দুপচাঁচিয়া) আসনে ১১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।  

তারা হলেন- অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম তালুকদার (লাঙ্গল), মো. আব্দুল মালেক সরকার (মশাল), মোছা. আফরিনা পারভিন (একতারা), অজয় কুমার সরকার (কাঁচি), খান মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ আল মেগহদী (ট্রাক), মো. আফজাল হোসেন (ফুলকপি), মো. আব্দুল মোত্তালেব (সোনালী আঁশ), মো. তাজ উদ্দিন মণ্ডল (ডাব), মো. নজরুল ইসলাম (কেটলি), মো. ফেরদৌস স্বাধীন ফিরোজ (ঈগল), মো. রফিকুল ইসলাম (নোঙর)।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৩, ২০২৪
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।