ঢাকা, সোমবার, ১৯ কার্তিক ১৪৩১, ০৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

উপজেলা ভোট: একই প্রতীক একাধিক প্রার্থী দাবি করলে লটারি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ২, ২০২৪
উপজেলা ভোট: একই প্রতীক একাধিক প্রার্থী দাবি করলে লটারি

ঢাকা: আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নির্দলীয় প্রার্থীদের মধ্যে একই প্রতীক নিয়ে দ্বন্দ্ব দেখা দিলে লটারিতে নিষ্পত্তি করতে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

সংস্থাটির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান নির্দেশনাটি সম্প্রতি রিটার্নিং কর্মকর্তাদের পাঠিয়েছেন।

এতে বলা হয়েছে, যদি কোনো নির্বাচনে প্রার্থীর সংখ্যা তফসিল সংশ্লিষ্ট তালিকায় উল্লিখিত প্রতীক সংখ্যা অপেক্ষা বেশি হয়, তাহলে কমিশন ওই তালিকায় প্রয়োজনীয় সংখ্যক নতুন প্রতীক সংযোজন করা যাবে।

উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বিধিমালা, ২০১৩ এর বিধি ২২ এর উপ-বিধি (২) অনুসারে নির্বাচনি প্রতীক বরাদ্দের ক্ষেত্রে, প্রার্থীগণের মধ্যে দ্বন্দ্ব দেখা দিলে রিটার্নিং অফিসার যতদূর সম্ভব প্রার্থীদের পছন্দের প্রতি লক্ষ্য রেখে, প্রতীক বরাদ্দ করবেন এবং প্রয়োজনবোধে লটারির মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিতেন এবং এ বিষয়ে তার সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হবে।

রিটার্নিং অফিসার প্রার্থিতা প্রত্যাহারের নির্ধারিত শেষ তারিখ অতিবাহিত হওয়ার অব্যবহিত পরবর্তী দিবসে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ করবেন। কোনো অবস্থাতেই প্রার্থিতা প্রত্যাহারের নির্ধারিত শেষ তারিখের পূর্বে কোনো প্রার্থীকে প্রতীক বরাদ্দ করা যাবে না। এ ছাড়া প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের তালিকা প্রস্তুত ও পাঠানো বিষয়ে এর আগের পরিপত্র-৩ এর অনুচ্ছেদ ৭ অনুসরণ করতে হবে।

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের জন্য অতিরিক্ত প্রতীকের প্রয়োজন হলে নির্বাচন কমিশনকে আগেই জানাতে হবে। আর অতিরিক্ত প্রতীক প্রয়োজন হলেও প্রথমে বিধিমালার তফসিলে নির্ধারিত প্রতীকগুলো বরাদ্দ করে নিঃশেষ করার পর রিটার্নিং অফিসারকে অতিরিক্ত প্রতীক বরাদ্দের কাজে হাত দিতে হবে।  

নির্ধারিত প্রতীক বরাদ্দ নিঃশেষ না করে অতিরিক্ত প্রতীক বরাদ্দ করা যাবে না। কেননা, তফসিলে বর্ণিত নির্ধারিত প্রতীক এবং প্রার্থীর সংখ্যা সমান হলে নির্বাচন কমিশন তফসিলে বর্ণিত নির্ধারিত সংখ্যার প্রতীকগুলো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের নামের বিপরীতে ব্যালট পেপারে মুদ্রণ করবে। তাই অতিরিক্ত প্রতীক বরাদ্দের ক্ষেত্রে রিটার্নিং অফিসারকে যথেষ্ট সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন চারটি ধাপে অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে প্রথম ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে ১৫২ উপজেলায় ভোটগ্রহণের তারিখ ৮ মে নির্ধারণ করে ২১ মার্চ প্রজ্ঞাপনও জারি হয়েছে। এ ছাড়া ২১ মে দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন ১৬১টি উপজেলায় অনুষ্ঠিত হবে। তৃতীয় ও চতুর্থ ধাপের পূর্ণাঙ্গ তফসিল না হলেও ২৯ মে ও ৫ জুন তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।

প্রথম ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ১৫ এপ্রিল। মনোনয়নপত্র বাছাই ১৭ এপ্রিল। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল, আর ভোটগ্রহণ হবে ৮ মে।

এ ধাপের নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়োগ করা হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিল আবেদন  আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে  নিষ্পত্তি করবেন জেলা প্রশাসক।

দ্বিতীয় ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ২১ এপ্রিল। মনোনয়নপত্র বাছাই ২৩ এপ্রিল, আপিল গ্রহণ ২৪ থেকে ২৬ এপ্রিল, আপিল নিষ্পত্তি ২৭ থেকে ২৯ এপ্রিল। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ৩০ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ প্রতীক বরাদ্দ ২ মে। আর ভোটগ্রহণ হবে ২১ মে।

এ ধাপের নির্বাচনে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকদের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হবে। ভোটারের সংখ্যা পাঁচ লাখের বেশি, যেখানে সেখানে একাধিক সহকারী রিটার্নিং অফিসার নিয়োগ করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ০২, ২০২৪
ইইউডি/আরএইচ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।