ঢাকা: দেশে প্রথমবারের মতো আইন করে ডিজিটাল প্রচারের ব্যবস্থা এনেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আসছে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনেই প্রার্থীরা এ সুযোগ পাবেন।
বুধবার (৩ এপ্রিল) নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর তার দপ্তরে সাংবাদিকদের কাছে এমন মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ডিজিটাল প্রচারের ব্যবস্থা করায় খরচ কমে যাবে। ইউটিউবে, ফেসবুকে প্রচারে ব্যয় কমে যাবে।
সম্প্রতি নির্বাচন কমিশন উপজেলা নির্বাচন বিধিমালা ও আচরণ বিধিমালা সংশোধন করে বেশ কিছু পরিবর্তন আনে। সেগুলো নিয়ে ব্যাখ্যা করেন এ কমিশনার।
অতীতে স্থানীয় এই নির্বাচনে স্বতন্ত্র থেকে নির্বাচন করতে হলে ২৫০ ভোটারের সমর্থনসূচক সই জমা দিতে হতো। সংশোধনীতে সেই বিধান তুলে দেওয়া হয়েছে।
মো. আলমগীর বলেন, নির্বাচন মানে হেলাখেলা বা ছেলেখেলা নয়। রাষ্ট্র পরিচালনার বিষয়, স্থানীয় সরকার পরিচালনার বিষয়। সেখানে নিয়ম করেছিল যেন, যে কেউ চাইলেই প্রার্থী হতে না পারে। এজন্য প্রার্থী সমর্থনে সই নেওয়ার বিধান করা হয়েছিল। এটা গণতন্ত্রের পরিপন্থি। এছাড়া যারা সমর্থন দেন তারা অনেক সময় নির্যাতনের শিকার হন। এ ধরনের অভিযোগ আছে। তাই আমরা সেটা তুলে দিয়েছি।
তিনি বলেন, ওই বিধান প্রতিপালন করতে গিয়ে সমর্থন দেখানোর জন্য প্রার্থীরা ছলচাতুরি বা মিথ্যার আশ্রয়ও নিতেন। প্রার্থী নিজেই ডানহাত, বাম হাত মিলিয়ে সই করতেন, তাই এ ধরনের আইন কেন থাকবে যা ন্যায়ের পক্ষে না। তাই তুলে দিয়েছি। এটা অন্যায় করার জন্য মানুষকে উৎসাহিত করে।
এক প্রশ্নের জবাবে সাবেক এ ইসির সচিব বলেন, কোনো দল থেকে প্রার্থী না দিলে স্বতন্ত্র থেকে দাঁড়াবে। এক্ষেত্রে কারোই সমর্থনসূচক সই লাগবে না। জেনে বুঝে শুনে গণতন্ত্র, রাজনীতির জন্য সহায়ক সেটা তো করতে হবে। কোনো রাজনৈতিক দল সুবিধা দেওয়ার জন্য নয়। তাহলে তো সংসদেও করতাম।
স্থানীয় নির্বাচন দলীয়ভাবে করার বিষয়ে এ কমিশনার বলেন, পৃথিবীর অনেক দেশেই তৃণমূলে রাজনৈতিক নির্বাচন হয়। আমাদের এখানে সেটা আগে ছিল না। পরে এখানেও করা হয়েছিল। হয়তো ভালো দিক চিন্তা করেই করেছিল। এখন হয়তো তারা মনে করছে অপপ্রয়োগ বেশি হচ্ছে।
ইসি ঘোষিত পরিকল্পনা অনুযায়ী, আগামী ৮ মে থেকে চার ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৩, ২০২৪
ইইউডি/আরআইএস