ঢাকা: আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ এলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
রোববার (৫ মে) সাংবাদিকদের কাছে এমন মন্তব্য করেছেন ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ।
তিনি বলেন, মন্ত্রীরা সরকারি সু্বিধা ভোগী অতিগুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হওয়ায় নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিতে পারবেন না। এমপির ভাই বা আত্মীয় নির্বাচন করবে কিনা এ নিয়ে আইনে কোনো ব্যত্যয় নেই। নির্বাচন কমিশন দেখবে আচরণবিধি লঙ্ঘন হয় কিনা। আচরণবিধি লঙ্ঘন হলে নির্বাচন কমিশন ব্যবস্থা নেবে। যে অভিযোগ আসছে সেগুলো তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ডিসি, এসপি ও রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছ থেকে রিপোর্ট এনে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
ডিসি, এসপি যদি আচরণবিধি লঙ্ঘনে সহযোগিতা করেন তাহলে কী হবে- এমন প্রশ্নের জবাবে অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, নির্বাচন কমিশন মাঠ পর্যায়ে সবার সহযোগিতায় সব কাজ করে থাকে। কমিশনের তো এত হ্যান্ডস নেই যে প্রতিটা পয়েন্ট সে মনিটর করবে। মাঠ প্রশাসনের মাধ্যমেই কমিশন সব বিষয় মনিটর করে। তারা যদি সঠিক তথ্য না দেয় তাহলে নির্বাচন কমিশনের কিছু করার নেই। আমাদের যা কিছু করার তা রিপোর্টের ভিত্তিতে। কোনো সংবাদের ভিত্তিতে সেটা ক্রস চেক না করে ব্যবস্থা নেয় না।
গাজীপুরে প্রার্থীর গোপন বৈঠকের বিষয়ে এ কর্মকর্তা বলেন, যাদের নাম আসছে, গোপন মিটিং করেছে তাদের নির্বাচনী দায়িত্ব থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
ইভিএম নষ্ট হয়ে গেলে কী হবে- এমন প্রশ্নের জবাবে অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, মাঠে ইভিএম কিউসি করে যা ভালো আছে সেগুলো ব্যবহার করা হচ্ছে। এবার নির্বাচনে দেড় শতাংশ বেশি ব্যাকআপ রাখা হবে। আশা করি সমস্যা হবে না। প্রত্যেক কেন্দ্রে টেকনিক্যাল টিম থাকবে তারা সমাধান করতে পারবে।
এবার ৪৯৫টি উপজেলার মধ্যে ৪৭৬টি উপজেলায় চার ধাপে ভোটগ্রহণ করছে নির্বাচন কমিশন। ১৯টি উপজেলা পরিষদে নির্বাচনের সময় হয়নি। পরে সে-সব পরিষদে ভোট নেওয়া হবে।
তফসিল অনুযায়ী, প্রথম ধাপে ১৫০টি উপজেলায় ৮ মে, দ্বিতীয় ধাপে ১৬০ উপজেলায় ২১ মে, তৃতীয় ধাপে ১১২ উপজেলায় ২৯ মে ও চতুর্থ ধাপে ৫৫ উপজেলায় ৫ জুন ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপে ২২টি, দ্বিতীয় ধাপে ২৪টি, তৃতীয় ধাপে ২১টি ও চতুর্থ ধাপে দুটি উপজেলায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৫ ঘণ্টা, মে ০৫, ২০২৪
ইইউডি/আরবি