বাগেরহাট: বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার হিজলা ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. নাঈম খানের পদ সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে।
চিতলমারী উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক শেখ নজরুল ইসলাম ও যুগ্ম আহ্বায়ক এস এম মাহতাবুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়।
সোমবার (১৩ মে) দেওয়া ওই বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, মো. নাঈম খানকে দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি কার্যকলাপে যুক্ত থাকার অভিযোগে সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে সাময়িকভাবে স্থগিত করা হলো এবং দলীয় সাংগঠনিক কার্যক্রম থেকে বিরত থাকতে বলা হল। কেন স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না, আগামী সাতদিনের মধ্যে সন্তোষজনক লিখিত ব্যাখ্যা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হলো।
তবে স্থগিতাদেশ পাওয়া যুবলীগ নেতা নাঈম খানের দাবি, চিতলমারী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক এস এম মাহাতাবুজ্জামানের হয়ে কাজ না করার কারণে এ স্থগিতাদেশ করা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, চিতলমারী উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক এস এম মাহাতাবুজ্জামানসহ তিনজন প্রার্থী নির্বাচন করছেন। নৈতিক কারণে এবারের নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী যুবলীগের সাবেক সভাপতি কাজী আজমীর আলীর উড়োজাহাজ প্রতীকের পক্ষে কাজ করছি। এতে যুগ্ম আহ্বায়ক মাহাতাবুজ্জামান ক্ষিপ্ত হয়ে আমার পদ স্থগিত এবং শোকজ করেছেন। এটা ক্ষমতার অপব্যবহার। যুবলীগের জেলা ও কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে তদন্তপূর্বক এই অন্যায়ের বিচার দাবি জানাই।
এ বিষয়ে চিতলমারী উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক শেখ নজরুল ইসলাম বলেন, নির্বাচন সংক্রান্ত কোনো বিষয় না। নাঈম খান দলীয় শৃঙ্খলা মানেন না। সম্প্রতি একটি নির্বাচনী সভায় আমাদের সামনেই তিনি মারপিট করেছেন, যে কারণে তার পদ স্থগিত করা হয়েছে।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ মাহাতাবুজ্জানকে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
এর আগে গত ২২ এপ্রিল নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ফকিরহাট উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী শেখ ওয়াহিদুজ্জামান বাবুর নেতৃত্বাধীন উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির কার্যক্রম স্থগিত করেছিল জেলা কমিটি। তখনও আহ্বায়ক শেখ ওয়াহিদুজ্জামান বাবু দাবি করেছিলেন, নির্বাচনে অংশ নেওয়ার অপরাধে তার কমিটি স্থগিত করা হয়েছে। সাধারণ কর্মীরাও তাই মনে করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৫ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০২৪
এসআরএস