ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

নির্বাচন কর্মকর্তাকে গালি দেওয়ার অভিযোগে আ.লীগ নেতার নামে মামলা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫৮ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০২৪
নির্বাচন কর্মকর্তাকে গালি দেওয়ার অভিযোগে আ.লীগ নেতার নামে মামলা আলমগীর মুন্সী

শরীয়তপুর: শরীয়তপুর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও শরীয়তপুর জজকোর্টের সরকারি কৌঁসুলি (জিপি) আলমগীর মুন্সীর বিরুদ্ধে সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বিকাশ চন্দ্র দে’কে গালি দেওয়া ও নির্বাচনী কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।  

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) দুপুরে পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেজবাহ উদ্দিন আহম্মেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

 

এর আগে বুধবার (১৫ মে) রাত সাড়ে ১২টার দিকে আলমগীর মুন্সীর নামে পালং মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা।  

পালং মডেল থানা ও নির্বাচন কার্যালয় সূত্র জানায়, আগামী ২১ মে অনুষ্ঠিতব্য শরীয়তপুর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান আকন্দ উজ্জলের ঘোড়া প্রতীকের পক্ষে শরীয়তপুর জজকোর্টের সরকারি কৌঁসুলি (জিপি) ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আলমগীর মুন্সী কাজ করছেন। গত মঙ্গলবার (১৪ মে) নির্বাচনের প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের তালিকা ও ভোট কেন্দ্রের তথ্য সংক্রান্ত গোপনীয় কিছু নথি নিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে যান সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বিকাশ চন্দ্র দে। তিনি ওই নথিপত্র নিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সাইফুদ্দিন গিয়াসের সঙ্গে কথা বলছিলেন। তখন সেই কক্ষে প্রবেশ করেন জিপি আলমগীর মুন্সী। ওই নথিগুলো তখন সরিয়ে রাখেন নির্বাচন কর্মকর্তা। এতে ক্ষুব্ধ হন জিপি আলমগীর মুন্সী। ১৪ মে বিকেলে নির্বাচন কর্মকর্তা বিকাশ চন্দ্র জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে যাওয়ার পথে আলমগীর মুন্সী তার গতিরোধ করে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করেন বলে অভিযোগ ওঠে।  

এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (ডিসি) সাইফুদ্দিন গিয়াস, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাইনউদ্দিন ও এনডিসি সোহেল রানা সেখানে আসেন। বিকাশ চন্দ্র বিষয়টি নিয়ে তাদের সঙ্গে কথা বলেন। তখন আলমগীর মুন্সী পুনরায় তাকে গালাগালি করে তেড়ে এসে মারতে যান। জেলা প্রশাসনের ওই কর্মকর্তারা তখন দুজনকে সরিয়ে দেন। এ ঘটনায় বিকাশ চন্দ্র ১৪ মে রাতে পালং মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। ওই অভিযোগটি রাত সাড়ে ১২টার দিকে মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়।

এ ব্যাপারে পালং মডেল থানার ভাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেজবাহ উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার কারণে জজকোর্টের জিপি আলমগীর মুন্সীর নামে একটি পালং মডেল থানায় অভিযোগ করেছেন সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বিকাশ চন্দ্র দে।  

তবে এ ঘটনাকে মিথ্যা বলে দাবি করে শরীয়তপুর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও জজকোর্টের জিপি আলমগীর মুন্সী বলেন, আমার সঙ্গে কোনো সরকারি কর্মকর্তার খারাপ সম্পর্ক নেই। তাছাড়া আমি নির্বাচন কর্মকর্তাকে অপদস্থ করিনি। এ ঘটনা মিথ্যা।

শরীয়তপুর সদর ও জাজিরা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও শরীয়তপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. সাইফুদ্দিন গিয়াস বলেন, নির্বাচন কমিশনে (ইসি) জানানো হয়েছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে মামলা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৫ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০২৪
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।