পাবনা (ঈশ্বরদী): নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে ঈশ্বরদী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী এমদাদুল হক রানা সরদারের প্রার্থিতা বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তার প্রতীক আনারস।
রোববার (২৬ মে) দুপুরে নির্বাচন ভবনে শুনানি শেষে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ২৯ মে এ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে।
রোববার দুপুরে নির্বাচন কমিশনের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের কথা জানান ঈশ্বরদী উপজেলার সাঁড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান স্বজন সরদার।
এদিকে রোববার দুপুরে শুনানি শেষে কমিশনের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের কথা সাংবাদিকদের জানান ইসি সচিব জাহাংগীর আলম।
তার আগে বেলা সাড়ে ১১টায় আনারস প্রতীকের প্রার্থী উপস্থিত হয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (ইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
ইসি সচিব আরও জানান, সোমবার (১৩ মে) এমদাদুল হক প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার পর উপজেলা পোস্ট অফিস মোড়ে আনুমানিক ১৫০/২০০ মোটরসাইকেলসহ পথসভা করেন। যাতে অন্তত ছয় হাজার লোক সমবেত করা হয়। নিয়ম অনুযায়ী নির্বাচনী সভার ২৪ ঘণ্টা আগে এর জন্য স্থানীয় পুলিশের অনুমতি নেওয়ার কথা থাকলেও তিনি তা করেননি।
আনারস প্রতীকের নির্বাচনী শোডাউন ও মিছিলের ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে রাজশাহী বিভাগীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা তদন্ত করে প্রতিবেদন পাঠাতে পাবনা জেলা প্রশাসককে (ডিসি) নির্দেশ দেন। পাবনা জেলা প্রশাসক ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা সুবীর কুমার দাশকে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেন। রিটার্নিং কর্মকর্তা ওই প্রার্থীর কাছে ব্যাখ্যা তলব করেছিলেন। ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট না হওয়ায় রিটার্নিং কর্মকর্তা বিষয়টি ইসির দৃষ্টিতে আনেন। পরে কমিশন তাকে হাজির হয়ে ব্যাখা দিতে বলে।
ইসি সচিব বলেন, রোববার (২৬ মে) ওই প্রার্থী তার আইনজীবীসহ কমিশনে হাজির হন। শুনানিতে তিনি দোষ স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। তবে ভিডিও ফুটেজসহ অন্যান্য তথ্যাদি পর্যালোচনা করে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় সবার সম্মতিতে তার প্রার্থিতা বাতিল করা হয়।
এ ব্যাপারে ঈশ্বরদী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী এমদাদুল হক রানা বাংলানিউজে জানান, নির্বাচন কমিশন আমার প্রার্থিতা বাতিল করেছে। যেহেতু নির্বাচনের আর মাত্র দুদিন রয়েছে। প্রার্থিতা ফিরে পেতে আমি আদালতে রিট করব।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৫ ঘণ্টা, মে ২৬, ২০২৪
এসআই