ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

এবি পার্টিকে নিবন্ধন দিল ইসি, প্রতীক ঈগল

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২১, ২০২৪
এবি পার্টিকে নিবন্ধন দিল ইসি, প্রতীক ঈগল

ঢাকা: অবশেষে আদালতের নির্দেশে আমার বাংলাদেশ পার্টি বা এবি পার্টিকে নিবন্ধন দিল নির্বাচন কমিশন (ইসি)। দলটির নিবন্ধন প্রতীক হলো ঈগল।

এ নিয়ে দেশে নিবন্ধিত দলের সংখ্যা দাঁড়াল ৪৫টি।

বুধবার (২১ আগস্ট) দলটিকে নিবন্ধন দেওয়ার প্রজ্ঞাপন জারি করেছেন ইসি সচিব শফিউল আজিম।

এতে উল্লেখ করা হয়েছে, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট এর হাইকোর্ট বিভাগের রিট পিটিশনের রায় ও গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী আমার বাংলাদেশ পার্টিকে (এবি পার্টি) পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন করেছে। ওই দলের জন্য ‘ঈগল’ প্রতীক সংরক্ষণ করা হয়েছে এবং উহার নিবন্ধন নম্বর-০৫০।

সম্প্রতি এবি পার্টিকে নিবন্ধন দেওয়ার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, জানতে চেয়ে জারি করা রুল চূড়ান্ত করে সোমবার (১৯ আগস্ট) নিবন্ধন দেওয়ার রায় দেন বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি শশাঙ্ক শেখর সরকারের হাইকোর্ট বেঞ্চ।

সেদিন আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, যিনি দলটির যুগ্ম আহ্বায়ক। ২০২৩ সালের ৩১ আগস্ট দলটির আহ্বায়কের করা রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে হাইকোর্ট ওই রুল জারি করেন। একই বছরের ২৪ জুলাই দলটির নিবন্ধনের আবেদন খারিজ করতে নির্বাচন কমিশন একটি চিঠি দেয়। সে চিঠির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন দলটির আহ্বায়ক এএফএম সোলায়মান চৌধুরী।

আইনজীবী তাজুল ইসলাম জানান, নির্বাচন কমিশন ২৪ জুলাই চিঠি দিয়ে জানায় ১০৪টি উপজেলার দেওয়া তথ্যের মধ্যে ২৫টি সঠিক। বাকি ৭৯টির শর্ত পালনের তথ্য সঠিক পাওয়া যায়নি। কিন্তু কোন কোন উপজেলার শর্ত পালনের তথ্য ঠিক নেই, তা উল্লেখ করা হয়নি। আমাদের বক্তব্য হলো ১০৪টি উপজেলার সঠিক তথ্য দিয়েছি। এরপরও নিবন্ধন দেয়নি ইসি।

গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী, নিবন্ধন পাওয়ার ক্ষেত্রে যে কোনো দলকে কেন্দ্রীয় কমিটিসহ সক্রিয় একটি কেন্দ্রীয় কার্যালয়, কমপক্ষে এক তৃতীয়াংশ জেলা কার্যালয় ও কমপক্ষে ১০০টি উপজেলা কার্যালয় প্রতিষ্ঠা করতে হয়, যার প্রত্যেকটি কমিটিতে অন্তত ২০০ ভোটার সদস্য থাকতে হয়।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আগে ২০২৩ সালে নতুন দলের নিবন্ধন নিতে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে কমিশন। সে সময় নিবন্ধন পেতে আবেদন করে এবি-পার্টি। প্রাথমিক বাছাইয়ে টিকে গেলেও চূড়ান্ত বাছাইয়ে তথ্যে সঠিকতা না থাকার অভিযোগে তালিকা থেকে বাদ পড়ে।

এরপর ওই বছর ৮ আগস্ট প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের কাছে রিভিউ আবেদন করে দলটি। ওইদিন এবি পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের বলেন, এবি পার্টির বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তার বাস্তব অস্তিত্ব নেই। আমাদের সব পর্যায়ে কমিটি আছে। সব শর্ত পূরণ করেছি। তবে এসব যাচাই করতে গিয়ে ইসি কর্মকর্তারা আমাদের অফিস ভাড়ার কাগজের পরিবর্তে বাড়ির মালিকানার কাগজ দেখেছে। কাজেই অতিউৎসাহী কর্মকর্তাদের কারণে এমন হয়েছে।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাবেক নেতা (মজলিশে শুরার সদস্য) ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান এফ এম সোলায়মান চৌধুরী এবি পার্টির আহ্বায়ক। এছাড়া ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি মজিবুর রহমান মঞ্জু দলটির সদস্য সচিব।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে নিবন্ধন পাওয়া দু’টি দলসহ বর্তমানে নিবন্ধিত দলের সংখ্যা ৪৫টি। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী, নিবন্ধন ছাড়া কোনো দল নিজের প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নিতে পারে না।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২১, ২০২৪
ইইউডি/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।