ঢাকা: অভ্যুত্থানের ঢেউ নির্বাচন কমিশন (ইসি) স্পর্শ না করলেও এর প্রভাব পড়েছে সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীর মধ্যে। এখনো ‘হামলা’ আতঙ্ক বিরাজ করছে তাদের মাঝে।
সংস্থাটির উপ-সচিব সহিদ আব্দুস ছালামের সই করা অফিস আদেশে বলা হয়, নির্বাচন ভবনে প্রবেশ ও অবস্থানকালে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়, আইডিইএ-২ প্রকল্প, ইভিএম প্রকল্প, এসসিডিইসিএস প্রকল্প, সিবিটিইপি প্রকল্প, নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট ও মাঠ পর্যায়ের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অফিসিয়াল পরিচয়পত্র দর্শনীয়ভাবে ঝুলিয়ে প্রবেশ করা এবং দাপ্তরিক কার্যক্রম চলাকালে ঝুলিয়ে রাখার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত মাসিক সমন্বয় সভায় আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে প্রবেশে কড়াকড়ি আরোপের সিদ্ধান্ত হয়। এরপর ইসি সচিব শফিউল আজিম তা বাস্তবায়নের জন্য সেবা শাখাকে নির্দেশনা দেন।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, ছাত্র আন্দোলনের সময় বিভিন্ন অফিসে ইসির পাঁচটি গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। গুঞ্জন ওঠে নির্বাচন ভবনেও হামলা হতে পারে। সেই ভয়ে কর্মকর্তারা ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে যাওয়ার কয়েকদিন পর পর্যন্ত ঠিকমত অফিস করেননি। নির্বাচন কমিশনাররাও অফিস করেননি।
বর্তমানে বিভিন্ন দলের নেতাকর্মীরা নিবন্ধন পাওয়ার দাবি নিয়ে নির্বাচন ভবনে আসছেন। সোমবার একটি দলের নেতাকর্মীরা নির্বাচন ভবনে ইসি সচিবের দপ্তরে হট্টগোল করেন। মঙ্গলবারও পাঁচটি দলের নেতাকর্মীরা ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করেন। এতে ভীত হয়ে পড়েন অনেকে।
কর্মকর্তারা বলছেন, নির্বাচন কমিশন কি পয়েন্ট ইনফ্রাস্ট্রাকচার (কেপিআই) হওয়ায় নিরাপত্তা জোরদার করতেই হবে। কেউ কোনো ফাঁকে এসে কোনো অপকর্ম করলে যেন সহজে চিহ্নিত করা যায়, তাই এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০২০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৩, ২০২৪
ইইউডি/আরএইচ