ঢাকা, রবিবার, ২৮ পৌষ ১৪৩১, ১২ জানুয়ারি ২০২৫, ১১ রজব ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

সামগ্রিক ফোকাস জাতীয় নির্বাচন: ইসি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০২৫
সামগ্রিক ফোকাস জাতীয় নির্বাচন: ইসি কথা বলছেন নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।

ঢাকা: নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেছেন, আমাদের সামগ্রিক ফোকাস জাতীয় নির্বাচন।  এমন কিছু করা ঠিক হবে না যেটা জাতীয় নির্বাচনকে ব্যাহত করে।

 সরকার চাইলে জাতীয় নির্বাচনের আগে আমরা স্থানীয় নির্বাচন করতে পারবো।

রোববার (১২ জানুয়ারি) নির্বাচন ভবনে কমিশন সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদের কাছে এমন মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, আজকে দ্বিতীয় কমিশন সভা ছিল। এতে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন ও বিদ্যমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন-২০১০ রহিত করে ২০২৩ সালে একটি আইন করা হয়। যদিও এটা কার্যকর হয়নি। গত কমিশনের সময় এ আইনটি বাতিলের জন্য একটি প্রস্তাব গৃহীত হয়। গত বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর একটি ডিও লেটার দেওয়া হয়। আমরা আলোচনার পর সিদ্ধান্ত আকারে সরকারের সঙ্গে পত্রালাপে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

দ্বিতীয় বিষয় যেটা আলোচনা হয়েছে, বিশেষ এলাকায় (চট্টগ্রাম অঞ্চল) ভোটার নিবন্ধনের জন্য ফরম-২ এর ব্যবহার নিয়ে। মাঠপর্যায় থেকে আমাদের কাছে কিছু ফিডব্যাক এসেছিল যে, এই ফরম পূরণ করতে গিয়ে সাধারণ নাগরিকরা ভোগান্তিতে পড়ছেন। তাই এটা সহজীকরণের জন্য সংশ্লিষ্ট উপকমিটিতে পাঠিয়ে সহজীকরণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একটি সিদ্ধান্ত হচ্ছে ক্যাটাগরির যারা ছিলেন, তারা মোটামুটি নিশ্চিত যে বাংলাদেশি। তাই রিকোয়ারমেন্ট উঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। বাকি ক্যাটাগরিগুলো আছে সেগুলোর ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কমিটির মাধ্যমে আমাদের কাছে প্রস্তাবনা আসবে। আপনারা জানেন, ৫৬টি উপজেলা দক্ষিণ-পূর্ব দিকে অবস্থিত, যেখানে রোহিঙ্গা এবং বিদেশি নাগরিকদের প্রতারণামূলকভাবে ভোটার তালিকায় ঢুকে যাওয়ার প্রবণতা ঠেকাতে এই ব্যবস্থা করা হয়েছে। এটা চলমান থাকবে।

তৃতীয় বিষয় যা আলোচনা হয়েছে সেটি ছিল জনবল ব্যবস্থাপনা। এতে আমরা যা আলোচনা করেছি তা হলো ইভিএম প্রকল্পটি গত জুন মাসে শেষ হলেও এখনো পর্যন্ত পুরোপুরিভাবে টেকওভার করা হয়নি। প্রশিক্ষণ বাকি ছিল। শেষ এই সপ্তাহে হয়েছে। এই অবস্থায় ইভিএম ব্যবহার কতটুকু হবে না হবে সে ব্যাপারে আমরা জানি না৷ এ ব্যাপারে সংস্কার কমিশনের মাধ্যমে কিছু প্রস্তাব আসতে পারে।  সে আসুক না কেন, বর্তমান যে মেশিনগুলো আছে, সেগুলো রক্ষণাবেক্ষণ, দায়-দায়িত্ব বুঝে নেওয়ার একটা সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ ব্যাপারে আমরা জরুরিভিত্তিতে দায়-দায়িত্ব বুঝে নেবো। তার ভবিষ্যতে সিদ্ধান্ত হবে এটা ব্যবহার হবে কি হবে না।

এক প্রশ্নের জবাবে কমিশনের মুখপাত্র বলেন, ২০ তারিখে বাড়ি বাড়ি ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন হবে।  

অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যে সিইসি বলেছেন, যে পত্র-পত্রিকায় একইসঙ্গে সব নির্বাচন অনুষ্ঠানে বা সব স্থানীয় নির্বাচন একসঙ্গে করার পক্ষে-বিপক্ষে মত দিচ্ছেন, আমরা এ নিয়ে আলোচনা করেছি।  সব নির্বাচন একসঙ্গে করা সম্ভব নয়, আবার সব স্থানীয় নির্বাচনও একসঙ্গে করা সম্ভব নয়, এটা বাস্তবসম্মতও নয়।

অন্য এক প্রশ্নের জবাবে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনের কোনো চিঠি মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া হয়নি। শুধু স্বপ্রণোদিত হয়ে আলোচনা করেছি। যেহেতু লেখালেখি হচ্ছে। আমাদের সামগ্রিক ফোকাস জাতীয় নির্বাচন।  জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি থাকলে সব নির্বাচনের প্রস্তুতি হয়ে যায়।  শুধু নির্বাচন অনুষ্ঠান নয়, পরিবর্তিত পরিস্থিতি সংস্কার প্রস্তাব এলে আইনে পরিবর্তন ইত্যাদি কাজ করতে হবে। তখন এমন কিছু করা ঠিক হবে না যেটা জাতীয় নির্বাচনকে ব্যাহত করে। আমি নিশ্চিত মন্ত্রণালয়, সরকার, সংশ্লিষ্ট সবাই যেটা সিদ্ধান্ত নেবে আমরা তা বাস্তবায়ন করবো।  এতে সরকার যদি মনে করে কিছু নির্বাচন আগে করাবে আমাদের সেভাবে করতে হবে।  আমাদের সিদ্ধান্ত হলো, মূলত সব নির্বাচন একসঙ্গে করা সম্ভব নয়, স্থানীয় সরকার নির্বাচনও একসঙ্গে করা সম্ভব নয়, সরকার যেটা সিদ্ধান্ত দেবে সেভাবে হবে। সরকার চাইলে জাতীয় নির্বাচনের আগে আমরা স্থানীয় সরকার করতে পারবো।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০২৫
ইইউডি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।