ঢাকা: সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য সব প্রার্থীর এজেন্টদের প্রশিক্ষণে সহায়তা দিতে চায় জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচি-ইউএনডিপি।
বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) সংস্থাটির একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব আখতার আহমেদ সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ১০ দিন পর আজ ফের এসে তারা একটা ফিডব্যাক দিয়েছেন। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজের সঙ্গে কথা বলেছেন। সরেজমিন দেখেছেন। এর ভিত্তিতে তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আমাদের কিছু সহযোগিতা করবেন। কিছু লজিস্টিকস যেটা ক্যামেরা, কম্পিউটার, হার্ডওয়্যার টাইপের; আরেকটা জিনিস হচ্ছে দক্ষতা উন্নয়নে প্রশিক্ষণ দেবেন। এ প্রশিক্ষণ অংশীজনদের নিয়ে।
আখতার আহমেদ বলেন, আমরা যেমন বলেছিলাম নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে জড়িতদের দক্ষতা বাড়ানোর প্রয়োজন আছে, তেমনি প্রাসঙ্গিকভাবে যারা জড়িত তাদেরও প্রয়োজন আছে। যেমন সিভিল সোসাইটির যারা ভোটের সময় নির্বাচনী এজেন্ট হিসেবে কাজ করেন, এদের জন্য প্রশিক্ষণ কেমন করে কতটুকু দেওয়া যেতে পারে। উপকরণ কী হবে এগুলোর সঙ্গে তারা আছেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, দলগুলোর সঙ্গে প্রশিক্ষণ নয়। তবে ভোটকেন্দ্রে যিনি দলের আছেন তার সঙ্গে যদি আমরা একসঙ্গে কাজ করতে পারি তবে বেটার রেজাল্ট পাবো। উনারা মাঠ থেকে এমন চাহিদা পেয়েছেন। তবে এটা লাগে। ভালো কিছু করতে গেলে একসঙ্গে হতে হবে তো। সবাই অন্তর্ভুক্তিমূলক হোক। প্রশিক্ষণ কোথায় হবে, কারা দেবে এ প্রশ্নগুলো তো সামনে আসবে। বিস্তারিত পরে জানা যাবে। সব প্রার্থীর এজেন্ট। আমাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে কলেবরটা বাড়াতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ওরা নারী অংশগ্রহণের বিষয়ে বলেছেন। আমরা বলেছি যে এজন্য ঘরে ঘরে গিয়ে ভোটার করছি। এখন ভোটকেন্দ্রে তো তারাই যাবেন। এজন্য আমরা সব সময় উৎসাহ জানাচ্ছি, যাতে তারা অংশগ্রহণ করেন। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিতে দক্ষতা আরও কীভাবে বাড়ানো যায়, যাতে নির্বাচনী ফলাফল দ্রুত দেওয়া যায়, সুশীল সমাজের অংশগ্রহণ, যুব সমাজের সচেতনতা বাড়ানো, যে তাদের দায়িত্বটা কী, এসব নিয়ে কথা হয়েছে। এছাড়া সীমানা পুনর্নির্ধারণে কতটা কী করা যেতে পারে, তা নিয়েও কথা হয়েছে। আমরা বলেছি যে কোনো কিছু বন্ধ রাখিনি। একটা সুষ্ঠু গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য যা করা দরকার আমরা করছি।
আখতার আহমেদ বলেন, নির্বাচনের জন্য আগাম হিসাবটা খু্ব জরুরি। জানুয়ারির ১ তারিখে নির্বাচন করতে হলে ডিসেম্বর থেকেই প্রস্তুতি নিতে হয়। এ ব্যাকওয়ার্ড ক্যালকুলেশনে যতগুলো জিনিস আছে আমরা সবগুলো নিয়ে কাজ করছি। তারা বলেছে, তোমরা যা করার করছো, গ্যাপ যা থাকে আমরা পূরণের চেষ্টা করবো। ওরা নিউইয়র্কে যাচ্ছে। রিপোর্টটা দেবে। সেখান থেকে অনুমোদনের পর দুই সপ্তাহের মধ্যে আবার আসবে।
ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলারের নেতৃত্বে নির্বাচন ভবনে আসা একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করেন ইসি সচিব।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০২৫
ইইউডি/আরবি