ঢাকা: ১৭ বছর সেবা দিলেও খালি হাতে বাড়ি ফিরে যেতে হবে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) প্রকল্পের কর্মকর্তা-কর্মচারিদের। কেননা, প্রথমে তাদের প্রকল্পের অধীনে নিয়োগ দেওয়া হলেও এখন কাজ করছেন আউসোর্সিয়ের মাধ্যমে।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জানান, ২০০৭ সালে ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ডাটা এন্ট্রি অপারেটর, টেকনিক্যাল এক্সপার্ট, সহকারি প্রোগ্রামার, প্রোগ্রামার পদে লোকবল নেয় সংস্থাটি। পরবর্তীতে নাগরিকদের স্মার্টকার্ড দেওয়ার সিদ্ধান্ত হলে ২০১১ সালে বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম ফর এনহ্যান্সিং একসেস টু সার্ভিসেস-আইডিইএ প্রকল্প নেওয়া হয়। এই প্রকল্পের মাধ্যমেই মূলত এনআইডি’র যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করা হয়। এতে এনআইডি’র ওই কর্মকর্তা-কর্মচারিদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
প্রকল্পটির মেয়াদ শেষ হলে পরবর্তীতে আইডিইএ-২ প্রকল্প হাতে নেয় ইসি। ২০২১ সালের এ নতুন প্রকল্পে ওই লোকবল বাদ দেয় তৎকালীন কমিশন। তবে তাদের আউসোর্সিং কোম্পানির মাধ্যমে নিয়োগ দেওয়া হয়। এর ফলে আগের প্রকল্পের লোকবল রাজস্ব খাতের নেওয়ার উদ্যোগ মুখ থুবড়ে পড়ে।
গত ৫ আগস্ট সরকারের পট পরিবর্তনের পর এএমএম নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বাধীন কমিশন নিয়োগ পাওয়ার পর এনআইডি’র কর্মকর্তা-কর্মচারিরা ফের তাদের চাকরি স্থায়ী করার দাবি তোলে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) নাসির উদ্দিন তাদের এ দাবিকে যৌক্তিক মনে করে বিষয়টি নিয়ে উদ্যোগের কথা ভাবছেন।
তিনি বলেন, আউটসোর্সিংয়ে যারা আছেন তাদের প্রজেক্টে আনবো। তারা ১৭ বছর চাকরি করেছেন, বাড়িতে যাবে খালি হাতে। তাদের প্রতি আমাদের সহানুভূতি আছে। আমরা তাদের জন্য কাজ শুরু করেছি। সরকারে কাছে এটা পাঠাবো।
বর্তমানে ইসির এনআইডি কার্যক্রমে আড়াই হাজারের মতো লোকবল কাজ করছে। আর আগের প্রকল্পে ছিলেন ৭৪ জন, যাদের রাজস্ব খাতে নেওয়ার উদ্যোগ থমকে গিয়েছিল।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০২৫
ইইউডি/জেএইচ