ঢাকা: শুধু জনসংখ্যার ভিত্তিতে সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ করলে শহরে আসন সংখ্যা বেড়ে যাবে। তাই কেবল জনসংখ্যা নয়, ভৌগোলিক অবস্থা ও অবস্থান, সর্বশেষ জনশুনানির ভিত্তিতে সীমানা নির্ধারণ করা হবে।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) নির্বাচন ভবনে আয়োজিত তৃতীয় কমিশন সভায় এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে এ এম এম নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন।
বৈঠকের পর নির্বাচন কমিশনার ব্রি. জে. (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, ভোটার তালিকা আইন ২০০৯ পর্যালোচনা হয়েছে। এটা অধিকতর পর্যালোচনার দরকার রয়েছে। কমিটিকে এটা আরও পর্যালোচনার জন্য দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া জাতীয় নির্বাচনে সীমানা নির্ধারণ আইন পর্যালোচনা করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এই আইনের দুইটা বিষয় সমস্যার সৃষ্টি করছে। বর্তমানে জনসংখ্যার ভিত্তিতে সীমানা নির্ধারণ হচ্ছে। আমরা এটাকে জনসংখ্যার পাশাপাশি ভৌগোলিক অবস্থা ও অবস্থান, সর্বশেষ জনশুনানি ইত্যাদির ভিত্তিতে এই সীমানা নির্ধারণ করতে চাচ্ছি।
তিনি বলেন, আমাদের দেশে মানুষের শহরমুখী একটি প্রবণতা রয়েছে। যদি আমরা এটা শুধু জনসংখ্যার ভিত্তিতে রাখি তাহলে দেখা যাবে শহরে আসন সংখ্যা বাড়তে থাকবে এবং গ্রামাঞ্চলে তা কমতে থাকবে। তাহলে এটা অংশগ্রহণমূলক হবে না বলে কমিশন মনে করে।
এই নির্বাচন কমিশনার আরও বলেন, আইনের উপধারায় একটি টাইপিং মিসটেক আছে বলে আমরা মনে করি। আমরা এটা সংশোধনের জন্য সরকারের কাছে পাঠাব। আমাদের কাছে এই মুহূর্তে সীমানা নির্ধারণের জন্য ৪১টি আসনের ২৪৮টি আবেদন পড়েছে। সংস্কার কমিশন থেকে কী ধরনের প্রস্তাব আসে এবং আমাদের কী সিদ্ধান্ত আসে, তারপরে এগুলো সমাধান করা হবে। এই মুহূর্তে এগুলো পেন্ডিং রয়েছে।
তিনি বলেন, নির্বাচন পর্যবেক্ষণ নীতিমালা ২০২৩ ও সাংবাদিকদের জন্য নীতিমালা নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। এটা সংশ্লিষ্ট কমিটিতে পাঠানো হয়েছে পর্যালোচনার জন্য। পর্যবেক্ষকরা সাধারণত ৫ বছর মেয়াদি নিবন্ধন হয়ে থাকেন। তবে আমাদের এই মুহূর্তে নির্বাচনটা যেহেতু পাঁচ বছর মেয়াদি না তাই এটাকে একটু রিভিউ করতে হবে। এ ছাড়া বিভিন্ন পর্যবেক্ষক সংস্থা নিয়ে বিতর্ক আছে তাই আমরা এটাকে আরও ভালোভাবে পর্যালোচনা করতে চাচ্ছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০২৫
ইইউডি/এমজেএফ