ঢাকা, মঙ্গলবার, ২১ মাঘ ১৪৩১, ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৪ শাবান ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

ভোটার হালনাগাদ: আকস্মিক কার্যক্রম পরিদর্শনে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২৫
ভোটার হালনাগাদ: আকস্মিক কার্যক্রম পরিদর্শনে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন নির্বাচন কমিশন ভবন

ঢাকা: চলমান ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম সুচারুভাবে সম্পাদনের জন্য নিবন্ধন কেন্দ্র আকস্মিক পরিদর্শনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এজন্য জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন (এনআইডি) অনুবিভাগের মহাপরিচালকের নেতৃত্বে গঠন করা হয়েছে একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি।

মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) ইসির নির্বাচন সহায়তা শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব মো. নাসির উদ্দিনের জারি করা এক অফিস আদেশ থেকে বিষয়টি জানা গেছে।

এনআইডি মহাপরিচালকের নেতৃত্বে গঠিত ১১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির কর্মপরিধিও নির্ধারণ করে দিয়েছে ইসি।  

(ক) হালনাগাদ কার্যক্রমে রেজিস্ট্রেশন অফিসারের ওপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে প্রতিপালিত হচ্ছে কিনা তা নিশ্চিত করা।

(খ) নিবন্ধন কার্যক্রমে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতির ত্রুটি দেখা দিলে তাৎক্ষণিকভাবে মেরামতের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ।

(গ) রেজিস্ট্রেশন কেন্দ্রে এসে ছবি তুলতে বা এ সংক্রান্ত কার্যক্রম গ্রহণে কোনো সমস্যা হলে তাৎক্ষণিকভাবে তা সুরাহা করা।

(ঙ) নিবন্ধন কেন্দ্রে যন্ত্রপাতি ও প্রযুক্তি সঠিকভাবে ব্যবহার হচ্ছে কিনা তা তদারকি করা।

(চ) যন্ত্রপাতি ব্যবহারে অপারেটররা কোনো সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে কিনা তা তদারকি করা।

(ছ) নিবন্ধনযোগ্য ব্যক্তিদের উপস্থিতির জন্য উদ্বুদ্ধকরণ ও প্রচার কাজে মসজিদ, মন্দিরসহ বিভিন্ন ধর্মীয় উপাসনালয়ে প্রচারণামূলক কার্যক্রম তদারকি করা।

(জ) নিবন্ধন কার্যক্রম সরেজমিনে আকস্মিক পরিদর্শন করা।

(ঝ) হালনাগাদকরণ কার্যক্রমের সার্বিক অগ্রগতি মূল্যায়ন করা এবং মূল্যায়ন প্রতিবেদন সময়ে সময়ে সিনিয়র সচিব ও নির্বাচন কমিশনকে অবহিত করা।

(ঞ) নির্বাচন কমিশন কর্তৃক সময়ে সময়ে প্রদত্ত এ সংক্রান্ত বিশেষ নির্দেশনাবলি যথাযথভাবে প্রতিপালন করা।

গত ২০ জানুয়ারি থেকে ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করে ইসি। আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত নিবন্ধন কেন্দ্রে ছবি তোলে, আঙুলের ছাপ নিয়ে ও চোখের আইরিশের প্রতিচ্ছবি নিয়ে নিবন্ধন সম্পন্ন করা হবে।

ইসি সচিব আখতার আহমেদ জানিয়েছেন, হালনাগাদে ৪৯ লাখ ৭০ হাজার ৩৮৮ জন ভোটার যুক্ত হচ্ছেন। ৬১ লাখ ৮৯ হাজার লক্ষ্যমাত্রা ছিল। বাদ পড়া ভোটার বাড়ার হার ২ দশমিক ৪৪ শতাংশ। অতীতে যারা ভোটার হতে পারেনি তাদের হার এটা। আর নতুন যারা ভোটার হবেন ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি, তাদের হার হলো ১ দশমিক ৪৫ শতাংশ। মোট বাড়ানোর হার সে হিসেবে ৩ দশমিক ৯ শতাংশ। মৃত ভোটার কর্তন হয়েছে ১৫ লাখ ২৩ হাজার। আগামী বুধবার (৫ এপ্রিল) এ ডাটা পরিবর্তন হবে। তবে গতবারের চেয়ে এখনও পর্যন্ত কম। কেন কম তা নির্দিষ্টভাবে বলা মুশকিল। এখনও মাঠ থেকে ফিডব্যাক কম। আমরা বাড়ি বাড়ি যেতে পেরেছি কিনা, না পারলে কী সীমাবদ্ধতা ছিল খুঁজে বের করার চেষ্টা করবো।

তিনি বলেন, তথ্য সংগ্রহকারীরা অনেকের বাড়িতে গেছেন, না পাওয়ায় ফোন নম্বর দিয়ে গেছেন। তবে যেখানে যেতে পারিনি, সেটা নিয়ে আমাদের সীমাবদ্ধতা চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিতে হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, বাদ পড়া ভোটাররা আগামী ১১ এপ্রিল পর্যন্ত ভোটার হতে পারবেন সরাসরি নিবন্ধন কেন্দ্রে গিয়ে। এছাড়া অনলাইনে এরপরেও তথ্য দিয়ে ভোটার হওয়া যাবে। যারা দায়িত্ব অবহেলা করেছেন, জানার চেষ্টা করবো কেন যাননি। তাহলে সেই ক্রটি পূরণের চেষ্টা করবো।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০২৫
ইইউডি/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।