ঢাকা: অনিয়ম করলে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার সুপারিশ করেছে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন।
শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) অন্তর্বর্তী সরকারের দেওয়া ১৮৪ পৃষ্ঠার চূড়ান্ত প্রস্তাবনায় এমন সুপারিশ করা হয়েছে।
সুপারিশগুলো হলো:
১) নির্বাচন কমিশনারদের পারিশ্রমিক ও কমিশনের সাচিবিক ব্যয়ের পাশাপাশি কমিশনের সব নির্বাচন সংক্রান্ত ব্যয় প্রজাতন্ত্রের সংযুক্ত তহবিলে দায়যুক্ত করা।
২) নির্বাচন কমিশনের আইনি, আর্থিক ও প্রশাসনিক প্রস্তাব কোনো মন্ত্রণালয়ের পরিবর্তে প্রস্তাবিত সংসদীয় কমিটির নিকট উপস্থাপনের বিধান করা।
৩) প্রস্তাবিত নির্বাচন কমিশন আইন ২০২৫-এ কমিশনারদেরকে দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতা, আর্থিক অনিয়ম ও শপথ ভঙ্গের কারণে স্পিকারের নেতৃত্বে সংসদের উচ্চকক্ষের একটি সর্বদলীয় বিশেষ সংসদীয় কমিটিকে তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো।
৪) গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২-এর ধারা সংশোধনপূর্বক নির্বাচনী অপরাধের মামলা দায়েরের সময়সীমা রহিত করা।
৫) একটি বিশেষ তদন্ত কমিশন গঠনের মাধ্যমে ২০১৮ সালের জালিয়াতির নির্বাচনের দায় নিরূপণ করে দায়ী ব্যক্তিদেরকে বিচারকদের আওতায় আনা। প্রস্তাবিত কমিশনের কার্যপরিধি অন্যান্য নির্বাচনের ক্ষেত্রেও প্রসারিত করা, একইসঙ্গে আদালতের সঙ্গে জালিয়াতির মাধ্যমে যারা রায় বদলিয়ে দিয়ে নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে তাদেরকেও তদন্তের আওতায় আনা ।
সরকার কমিশনের সুপারিশ দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার পর সিদ্ধান্ত নেবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৮, ২০২৫
ইইউডি/এমজে