ঢাকা: সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণের জন্য সীমানা নির্ধারণ কমিশন গঠনের সুপারিশ করেছে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন।
শনিবার (০৮ ফেব্রুয়ারি) অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে দেওয়া ১৮৪ পৃষ্ঠার চূড়ান্ত প্রস্তাবনায় এমন সুপারিশ করেছে কমিশন।
নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সুপারিশ
১. আন্তর্জাতিক best practice অনুযায়ী ভবিষ্যতে নির্বাচন কমিশনের পরিবর্তে একটি আলাদা সীমানা নির্ধারণ কমিশন গঠন করতে সংবিধান সংশোধন করা।
২. আলাদা কমিশন গঠন না করা পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের সহায়তায় একটি বিশেষায়িত কমিটি গঠন করা, যেখানে প্রয়োজনীয় সংখ্যক নির্বাচন কর্মকর্তা, ভূগোলবিদ, মানচিত্রকার, পরিসংখ্যানবিদ, নগর পরিকল্পনাবিদ, তথ্য-প্রযুক্তিবিদ এবং জনসংখ্যাবিদসহ সংশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ অন্তর্ভুক্ত হবেন। কমিশন এ কাজে দেশি ও বিদেশি যে কোনো ব্যক্তির বা সংস্থার সহায়তা নিতে পারে। এ ক্ষেত্রে—
ক. পল্লী এলাকার ক্ষেত্রে ইউনিয়ন এবং সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার ক্ষেত্রে ওয়ার্ড কোনোভাবেই বিভক্ত না করা।
খ. পার্বত্য এলাকার তিন জেলাকে তিনটি সুরক্ষিত সংসদীয় আসন (protected constituency) হিসেবে বিবেচনা করা। অন্যান্য জেলায় যেখানে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর বসবাস আছে সেগুলোতে ওই জাতিগোষ্ঠীকে বিভক্ত না করে, অর্থাৎ একটি ইউনিট হিসেবে বিবেচনা করে একই সংসদীয় আসনের অন্তর্ভুক্ত করা।
গ. মেহেরপুর, পিরোজপুরসহ ছোট জেলাগুলোর জনসংখ্যা বিবেচনায় নিয়ে একটি আলাদা জনসংখ্যা কোটা (smaller
district population quota) বিবেচনা করে কম বেশি ১০ শতাংশের অধিক বিচ্যুতি না করে ওই সব জেলার সীমানা নির্ধারণ করা। বৃহত্তর জেলার জনসংখ্যা বিবেচনায় নিয়ে একটি আলাদা জনসংখ্যা কোটা (greater district
population quota) বিবেচনা করে কম বেশি ১০ শতাংশের অধিক বিচ্যুতি না করে ওই সব জেলার সীমানা নির্ধারণ করা। তবে ঢাকা ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ক্ষেত্রে এ বিচ্যুতি ২৫ শতাংশের অধিক না করা।
কমিশনের সুপারিশ রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার পর সিদ্ধান্ত নেবে সরকার।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০২৫
ইইউডি/এমজেএফ