ঢাকা: ভোটার প্রতি সর্বোচ্চ ১০ টাকা ব্যয় করা যাবে- এমন বিধান আনার সুপারিশ করেছে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন।
শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে দেওয়া ১৮৪ পৃষ্ঠার চূড়ান্ত প্রস্তাবনায় এমন সুপারিশ করেছে কমিশন।
সুপারিশ
১. প্রার্থী এবং রাজনৈতিক দলের তহবিলের উৎস জানা ও নির্বাচনী ব্যয়ের অস্বচ্ছতা দূর করার নিমিত্তে নিম্নোক্ত দলিলাদি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরীক্ষা করা, প্রার্থীর দাখিলকৃত সম্ভাব্য আয়ের উৎস, প্রার্থী প্রদত্ত হলফনামা, নির্বাচনী ব্যয় নির্বাহের জন্য ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, আয়কর বিভাগে দাখিলকৃত আয়কর রিটার্ন, নির্বাচনী প্রচারণাকালীন প্রার্থীর প্রতিদিনের ব্যয় মনিটরিং, প্রার্থী কর্তৃক দাখিলকৃত নির্বাচনী ব্যয়ের রিটার্ন নিরীক্ষা করা।
২. নির্বাচনী ব্যয়ের অনিয়ম প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে এক বা একাধিক নির্বাচনী আসনের জন্য ‘নির্বাচনী ব্যয় মনিটরিং কমিটি’ নামে কমিটি গঠন করা এবং নির্বাচনী ব্যয় নিবিড়ভাবে নজরদারি করা।
৩. নির্বাচন কমিশনের উদ্যোগে একই মঞ্চে ভোটার-প্রার্থী মুখোমুখি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা।
৪. আসনপ্রতি ব্যয় সীমা তুলে দিয়ে ভোটার প্রতি ১০ টাকা ব্যয় নির্ধারণ করা।
৫. নির্বাচনী প্রচারণার অংশ হিসেবে শোডাউন, পোস্টার ছাপানো এবং মাইকিং বন্ধ করা। এর বিকল্প হিসেবে লিফলেট, হ্যান্ডবিল ও প্রার্থীদের ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাওয়াকে উৎসাহিত করা।
৬. প্রার্থী ও দলের নির্বাচনী ব্যয়ের হিসাবের রিটার্নের নিরীক্ষা এবং হিসাবে অসঙ্গতির জন্য নির্বাচন বাতিলের বিধান করা।
৭. সরকার ও নির্বাচন কমিশনের ব্যয় কমানোর জন্য নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তাদের ভাতা ও প্রশিক্ষণ ভাতা পুনর্মূল্যায়ন করা।
৮. কখন থেকে নির্বাচনী ব্যয় গণনা শুরু হবে তা আইনে স্পষ্ট করা এবং প্রার্থীর পক্ষে তার দলের এবং অন্য কোনো ব্যক্তির ব্যয়কেও নির্বাচনী ব্যয়ের অন্তর্ভুক্ত করা।
৯. সব নির্বাচনী ব্যয় ব্যাংকিং ব্যবস্থা বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক ব্যবহৃত প্রযুক্তির মাধ্যমে লেনদেন/পরিচালনা করা।
১০. প্রার্থীর আয়ের উৎস কী এবং নির্বাচনী ব্যয়ের খাতগুলো কী সে বিষয়টি স্পষ্টভাবে ব্যয়ের বিবরণীতে উল্লেখ করা।
কমিশনের সুপারিশ দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার পর সিদ্ধান্ত নেবে সরকার।
বাংলাদেশ সময়: ২৩০৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০২৫
ইইউডি/আরবি