ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৯ মাঘ ১৪৩১, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৩ শাবান ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

এক যুগ পর ইসিতে যাচ্ছে জামায়াত

ইকরাম-উদ দৌলা, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২৫
এক যুগ পর ইসিতে যাচ্ছে জামায়াত

ঢাকা: দীর্ঘ এক যুগ পর নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে বৈঠক করতে যাচ্ছে আদালতে রায়ে নিবন্ধন হারানো দল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।

ইসির অতিরিক্ত সচিব কেএম আলী নেওয়াজ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামী প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।

এজন্য বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় দলটিকে সময় দেওয়া হয়েছে। তবে সিইসি’র সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এলেও পুরো কমিশন বৈঠকে উপস্থিত থাকবে। জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল ইসিতে আসার কথা রয়েছে।

ইসি কর্মকর্তারা জানান, নিবন্ধন বাতিলের আগে নির্বাচন কমিশনে দলটির সর্বশেষ যোগাযোগ হয়েছিল ২০১২ সালের ২ ডিসেম্বর। সে সময় নিবন্ধন বাঁচাতে দলটি গঠনতন্ত্রে সংশোধন এনে জমা দিয়েছিল।

সেদিন তৎকালীন আইনবিষয়ক সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য জসীম উদ্দিন সরকার সংশোধিত গঠনতন্ত্রের মুদ্রিত কপি কমিশনে জমা দেন।

নিবন্ধন রক্ষায় গঠনতন্ত্র থেকে আল্লাহ-রাসূলের নামও বাদ দিয়েছিল জামায়াত। এরপর আর ইসির সঙ্গে যোগাযোগ হয়নি।

পরে ২০১৩ সালের ১ আগস্ট আদালত জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে রায় দিলে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার পথ বন্ধ হয়ে যায়। ২০১৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিএনপির সঙ্গে বর্জন করে।

২০১৫ সালে নির্বাচন কমিশন স্থানীয় নির্বাচনের প্রতীকের তালিকা থেকে দাঁড়িপাল্লা বাদ দিলে স্থানীয় নির্বাচনেও জামায়াতের ভোটে নেওয়ার পথ বন্ধ হয়ে যায়। ২০১৭ সালের এসে সংসদ নির্বাচনের প্রতীকের তালিকা থেকেও দলটির প্রতীক বাদ দেয় ইসি।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে কে এম নূরুল হুদার কমিশন দলটির নিবন্ধন বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করে।  ২০১৮ সালের ২৮ অক্টোবর তৎকালীন ইসি সচিব মো. হেলালুদ্দীন আহমদের সই করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ২০০৮ সালের ৪ নভেম্বর দলটিকে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী নিবন্ধন দেওয়া হয়েছিল।

দলটি নিবন্ধন নম্বর পেয়েছিল ১৪। কিন্তু একটি মামলার রায়ে হাইকোর্ট ২০১৩ সালে দলটির নিবন্ধন প্রক্রিয়া অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে। তাই নির্বাচন কমিশন দলটির নিবন্ধন বাতিল করল ।

বর্তমানে নিবন্ধন ফিরে পেতে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে জামায়াত। শুনানি চলমান। এরমধ্যেই নির্বাচন কমিশনের সাক্ষাতের বিষয়টিকে নিবন্ধন ফিরে পাওয়ার প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবেই দেখা হচ্ছে।

তবে দাঁড়িপাল্লা প্রতীক ফিরে পেতে আদালতের রায় পক্ষে আসতে হবে। কেননা, সুপ্রিম কোর্টের মনোগ্রামে ব্যবহৃত ন্যায়বিচারের প্রতীক ‘দাঁড়িপাল্লা’-কে অন্য কোনো ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা সংগঠনের প্রতীক হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না মর্মে ২০১৬ সালের ১২ ডিসেম্বর সিদ্ধান্ত নেন সুপ্রিম কোর্টের ফুলকোর্ট।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২৫

ইইউডি/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।