ঢাকা: ভোটার তালিকায় রোহিঙ্গা চিহ্নিত হলে তাৎক্ষণিকভাবে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) চতুর্থ কমিশন সভা শেষে সাংবাদিকদের এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।
তিনি বলেন, গত বছর কক্সবাজারের একটি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে এক ব্যক্তি রোহিঙ্গা ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার অভিযোগ নিয়ে আদালতে একটি রিট করেছিলেন। তিনি নির্বাচন বন্ধ চেয়েছিলেন। নির্বাচন তো বন্ধ হয়নি। তবে আদালত রোহিঙ্গা ভোটার অন্তর্ভুক্তির বিষয় তদন্ত করতে বলেছিলেন। আমরা বিশেষ এলাকা হিসেবে সংশ্লিষ্ট উপজেলার ভোটার তালিকায় যাতে রোহিঙ্গা ঢুকতে না পারে সেজন্য নিয়মিতভাবে হালনাগাদ করে থাকি। তারপরও প্রতারণা করে কেউ ঢুকে গেলে তাৎক্ষণিকভাবে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত আছে।
নির্বাচন কমিশনার আরও বলেন, জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সংশোধন সংক্রান্ত আবেদন দীর্ঘদিন ঝুলে থাকে, এটাকে কী করে সহজীকরণ করা যায় সে আলোচনা হয়েছে। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, কোনো ব্যক্তি বা নাগরিকদের যদি অসৎ উদ্দেশ্যে না থাকে সেগুলোকে সহজভাবে সমাধান করে দেওয়া হবে। অনেকে দ্বৈত কার্ড বা এনআইডি নিয়েছে। এই সংখ্যা খুব বেশি নয়। এদের ক্ষেত্রে ভুলভাবে কেউ দুইবার নিলে প্রথমটা থাকবে, দ্বিতীয়টা বাদ যাবে। এছাড়া বয়স বেশি কিন্তু তা কমিয়ে একটা চাকরি নিয়েছে এমন হলে আমরা নিরুৎসাহিত করবো। এমন হলে সেটা কমিশন পর্যন্ত আসবে। আবার পুরো পরিচয় পরিবর্তন করতে চাইলে আমরা কঠোর হবো। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট আবেদন নিষ্পত্তিতে সময় লাগলেও জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে এটা করতে হবে। ডাটা সেন্টারের স্বচ্ছতার জন্যও এটা করতে হবে।
আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, ডাটাবেজে ম্যাচ ফাউন্ড ভোটার আছে দুই লাখ নয় হাজার। যেটা পুরো ডাটাসেন্টারের দশমিক ১৬ শতাংশ। অনেক সময় শ্রমিক ভাই বা মা-বোনদের কারও কারও আঙ্গুলের ছাপ পরিষ্কার থাকে না। অনেক সময় এ কারণে ফলস ম্যাচ আসে। এগুলো যেন দ্রুত করতে পারি সে সিদ্ধান্ত হয়েছে। অনেকেই দুই আইডি নেওয়ায় ম্যাচ হয়েছে। এটা নাইন আউট অব টেন। এছাড়া যারা আমাদের সেবা নিয়ে থাকে, সেই আইনটা সহজ করা, যেন সেবাটা সহজে দেওয়া যায়, এমন সিদ্ধান্ত হয়েছে।
ইইউডি/এমজে