ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

‘নির্বাচন কমিশন একা সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারবে না’ 

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯২৬ ঘণ্টা, জুলাই ২৫, ২০১৭
‘নির্বাচন কমিশন একা সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারবে না’  ভোটার তালিকা হালনাগাদ কর্মসূচির অনুষ্ঠানে অংশ নেন সিইসি কে এম নুরুল হুদা ; ছবি-অনিক খান

ময়মনসিংহ: নির্বাচন কমিশন একা সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে.এম.নুরুল হুদা।তিনি বলেন, গণতন্ত্রের যে মূল লক্ষ্য নির্বাচন সেটাকে সুষ্ঠুভাবে, গ্রহণযোগ্য উপায়ে ও ভালভাবে সম্পন্ন করতে সবার সহযোগিতা ও প্রচেষ্টা অবশ্যই প্রয়োজন।’ 

প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু করার ক্ষেত্রে কারো সঙ্গে কোন আপোস করা হবে না। গণতান্ত্রিক পন্থায় যে আইন বিধি-বিধান আমাদের রয়েছে সেই আইনের আলোকে আমরা নির্বাচন অনুষ্ঠান করবো।

 গণতন্ত্রের যে মূল ভিত্তি নির্বাচন সেটাকে সুষ্ঠুভাবে গ্রহণযোগ্য উপায়ে করার জন্য আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।  

মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) দুপুরে ময়মনসিংহ নগরীর অ্যাডভোকেট তারেক স্মৃতি অডিটোরিয়ামে সারাদেশে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কর্মসূচির উদ্বোধন করতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।  

নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মোখলেসুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, মো. রফিকুল ইসলাম, বেগম কবিতা খানম, শাহদাত হোসেন চৌধুরী।

এ সময় অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন ময়মনসিংহের ভারপ্রাপ্ত বিভাগীয় কমিশনার মো. মোজাম্মেল হক, পুলিশের ময়মনসিংহ রেঞ্জের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) নিবাস চন্দ্র মাঝি, ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক আরিফ আহমেদ খান, জেলা পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম, ময়মনসিংহ পৌরসভার মেয়র মো. ইকরামুল হক টিটু, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যাপক ইউসুফ খান পাঠান প্রমুখ।  

ময়মনসিংহ জেলা থেকে পঞ্চমবারের মত ভোটার তালিকা হালনাগাদ করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে এবং এজন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, সুষ্ঠ নির্বাচনের পূর্ব শর্ত হচ্ছে সঠিক ভোটার তালিকা প্রণয়ন করা।  সুষ্ঠু নির্বাচন ও কাঙ্খিত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার নিয়ে আমরা দায়িত্ব নিয়েছি। গণতন্ত্র সমুন্নত না থাকলে আমাদের আত্মমর্যাদাও সমুন্নত থাকে না। ’ 
 ছবি-অনিক খান
পরে প্রধান নির্বাচন কমিশনার নগরীর পন্ডিত পাড়া এলাকার একটি বাড়িতে গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদের কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।  

এ সময় মিডিয়া কর্মীদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এবারের ভোটার তালিকা হালনাগাদে কোনো বিতর্কের সুযোগ নেই। কারণ এবার আঙ্গুলের ছাপ এবং চোখের মণির ছাপ গ্রহণ করা হবে। সেই সাথে স্মার্ট ভোটার কার্ড দেয়া হবে।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সংসদের বাইরে থাকা বিরোধী দল বিএনপিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, এখনো কোনো দল নির্বাচনে অংশ গ্রহণ না করা সম্পর্কে কিছু বলেনি।  সব দলের সঙ্গে সংলাপের জন্য আগামী মাসের মাঝামাঝি অথবা তৃতীয় সপ্তাহ থেকে প্রস্তুতি নেয়া হবে।

প্রসঙ্গত, এবার ৩৫ লাখ নতুন ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে হাত দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। কার্যক্রম চলবে কমপক্ষে এক মাস তিন দিন। ২০১৮ সালের ৩১ জানুয়ারি প্রকাশ করা হবে চূড়ান্ত তালিকা।

বাংলাদেশ সময়: ১৫২২ ঘণ্টা, জুলাই ২৫, ২০১৭ 
এমএএএম/আরআই 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।