ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

নির্বাচন ও ইসি

শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন চায় সাম্যবাদী দল

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৫৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০১৭
শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন চায় সাম্যবাদী দল শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন চায় সাম্যবাদী দল

ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে একাদশ সংসদ নির্বাচনের সুপারিশ করেছে বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল (এমএল)।

সোমবার (১৬ অক্টোবর) বিকেলে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে  সংলাপে অংশ নিয়ে এমন সুপারিশ করেছে দলটি।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংলাপে দলটির সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়ার নেতৃত্বে ১৬ সদস্যের প্রতিনিধি দল অংশ নেয়।

সংলাপ শেষে দিলীপ বড়ুয়া সাংবাদিকদের বলেন, সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর আলোকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে একাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এসময় সংসদ বিলুপ্তির কোনো প্রয়োজন নেই বলে আমরা সুপারিশ করেছি।

এছাড়া দলটি নতুন আদমশুমারি প্রতিবেদন না থাকায় বিদ্যমান সংসদীয় আসনেই একাদশ সংসদের ভোট সম্পন্নকরণ, সেনা না মোতায়েন, মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতাকারী ও জামায়াতের প্রতিনিধিদের স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবেও যাতে ভোট করতে না পারে সে বিধান প্রণয়ন, 
ধর্মীয় মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িকতাকে লালন-পৃষ্ঠপোষকতা করে এমন দলের নিবন্ধন বাতিল, ইভিএম চালু, ইসির নিজস্ব জনবল নিয়োগ, স্বাধীন ইসি গঠন, প্রবাসীদের ভোটাধিকার, না ভোট চালু, প্রচারণায় ধর্মের ব্যবহার বন্ধ, অনলাইনে মনোনয়ন ও নিবন্ধিত দলকে রাষ্ট্রীয় অনুদান প্রভৃতি বিষয়ে সুপারিশ করেছে।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ৩১ জুলাই সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে এবং ১৬ ও ১৭ আগস্ট গণমাধ্যমের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সংলাপে বসেছিল ইসি। এরপর গত ২৪ আগস্ট থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরু করে নির্বাচন কমিশন।

সংলাপে আসা সুপারিশগুলোর মধ্যে সারাদেশে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন, বর্তমান সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী দলগুলোকে নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন, নবম সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী দলগুলোকে নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন, সেনা মোতায়েন, না ভোটের প্রবর্তন, প্রবাসে ভোটারধিকার প্রয়োগ, জাতীয় পরিষদ গঠন, নির্বাচনকালীন অস্থায়ী সরকার গঠন, নির্দলীয় নির্বাচনকালীন সরকার, নির্বাচনের সময় সংসদ ভেঙে দেওয়া, রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহার ও নির্বাচনকালীন সময়ে ইসির অধীনে জনপ্রশাসন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা, দলের নির্বাহী কমিটিতে বাধ্যতামূলকভাবে ৩৩ শতাংশ নারী সদস্য রাখান বিধান তুলে নেওয়া ইত্যাদি অন্যতম।

১৮ অক্টোবর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের (নৌকা) সঙ্গে বসবে নির্বাচন আয়োজনকারী এই কর্তৃপক্ষ।

এবারের সংলাপ শেষ হচ্ছে আগামী ২৪ অক্টোবর। এক্ষেত্রে ২২ অক্টোবর নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে, ২৩ অক্টোবর নারী নেত্রীদের সংলাপে বসছে নির্বাচন কমিশন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০১৭
ইইউডি/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।