সিটি করপোরেশন নির্বাচন আইন অনুযায়ী, রাজশাহী, সিলেট, খুলনা ও বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণের সময় ঘনিয়ে আসছে। কেননা, ২০১৩ সালের ১৫ জুন অনুষ্ঠিত হয়েছিলো এ চার সিটির নির্বাচন।
পর্যবেক্ষকরা বলছেন, রসিক নির্বাচন একটি ছোট নির্বাচন। আর এ নির্বাচনে মানুষ দলের চেয়ে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকেই ভোট দিয়েছে মূলত। তাই এ নির্বাচন সুষ্ঠু হলেও এতে জাতীয় নির্বাচনের প্রতিচ্ছবি দেখার কোনো সুযোগ নেই।
এক্ষেত্রে সামনে যে চার সিটি নির্বাচন রয়েছে তার ওপর নির্ভর করছে নির্বাচন কমিশনের গ্রহণযোগ্যতা। এছাড়া আগামী ফেব্রুয়ারির শেষেই রয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র পদে উপ-নির্বাচন, নতুন ১৮টি ওয়ার্ডের সাধারণ নির্বাচন এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনেরও (ডিএসসিসি) নতুন ১৮টি ওয়ার্ডের নির্বাচন।
এরইমধ্যে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, রসিক নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হয়েছে। এটি অন্য নির্বাচনের তুলনায় অনন্য। তবে সাতমণ ঘি হলেই রাজা নাচবে। অর্থাৎ সরকার যদি জাতীয় নির্বাচনে সহায়তা করে, প্রশাসন সহায়তা করে তবেই সামনের নির্বাচনগুলো এবং জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে পারবে নির্বাচন কমিশন।
নির্বাচন পর্যবেক্ষক কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেছেন, রসিক নির্বাচন কোনোভাবেই জাতীয় নির্বাচনের পূর্বাভাস নয়। এটি সুষ্ঠু, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য হলেও ছোট নির্বাচন। কাজেই এর সঙ্গে জাতীয় নির্বাচনের তুলনা করলে হবে না। ইসির বড় পরীক্ষা সামনে।
ইসির যুগ্ম সচিব পর্যায়ের কর্মকর্তারাও এমনটাই মনে করছেন। তাদের অনেকেই বাংলানিউজকে বলেন, রসিক নির্বাচন এমনিতে স্থানীয় সরকারের নির্বাচন। তারওপর সেটি এরশাদের আসন। তাই এ নির্বাচনের ফলাফল দিয়ে ও পরিস্থিতি দিয়ে জাতীয় নির্বাচন পরিমাপ করার সুযোগ নেই। সামনে ঢাকা সিটি নির্বাচন, চার সিটি নির্বাচন দিয়ে হয়তো অনেক কিছু বোঝা যাবে। তারপরও জাতীয় নির্বাচন আর স্থানীয় নির্বাচন এক নয়। তবে নির্বাচন কমিশন একটি গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচন উপহার দেওয়ার জন্য দৃঢ় অবস্থানে রয়েছেন।
এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, আমরা আমাদের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী রংপুরে মডেল নির্বাচন করেছি। আশাকরি সামনের নির্বাচনগুলো আরো ভালো করতে পারবো। ফলে জাতীয় নির্বাচনেও সব দল অংশ নেবে।
সংবিধান অনুযায়ী, ২০১৮ সালের অক্টোবরের মাঝামাঝি থেকে ২০১৯ সালের ২৮ জানুয়ারির মধ্যে সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৬৪৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০২, ২০১৮
ইইউডি/জেডএস