বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ আবেদন করা হয়।
আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের আদালতে আবেদনের ওপর শুনানি হতে পারে।
গত ৯ জানুয়ারি ডিএনসিসির মেয়র পদে উপ-নির্বাচন ও নতুন ১৮টি ওয়ার্ডের সাধারণ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। তফসিল অনুযায়ী ১৮ জানুয়ারি মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় এবং ২৬ ফেব্রুয়ারি ভোটগ্রহণের তারিখ ছিল।
এ তফসিলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ১৬ জানুয়ারি ভাটারা থানার বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান এবং বাড্ডা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন।
এ পরিপ্রেক্ষিতে ১৭ জানুয়ারি শুনানি শেষে আদালত ওই তফসিলের ওপর সকল কার্যক্রম ছয় মাসের জন্য স্থগিত ঘোষণা করেন। একইসঙ্গে ওই নির্বাচনের জন্য তফসিল কেন ‘আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত’ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। এছাড়া স্থানীয় সরকার সচিব, নির্বাচন কমিশন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র, নির্বাচন কমিশন সচিব ও নির্বাচন কমিশনের যুগ্ম-সচিবকে এর জবাব দিতেও বলেন আদালত।
তফসিল ঘোষণা করা হলেও ভোটার তালিকা চূড়ান্ত না হওয়ায় কিভাবে প্রার্থী হবেন এবং ৩০০ ভোটার সমর্থকের স্বাক্ষর নেবেন। এছাড়া যারা কাউন্সিলর নির্বাচিত হবেন তাদের মেয়াদ কি আড়াই বছর, নাকি পাঁচ বছর হবে- এসব প্রশ্নকে সামনে রেখে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়।
সম্প্রতি ভোটার তালিকা হালনাগাদ করে নির্বাচন কমিশন। এর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হয় তফসিল ঘোষণার পর, এমনকি মনোনয়নপত্র দাখিলেরও শেষ সময় পর ৩১ জানুয়ারি। যেখানে নতুন ভোটাররা তালিকাভূক্ত হননি। মূলত এই জায়গা থেকেই রিট করা হয়। কারণ সংশ্লিষ্টদের মতে, স্বতন্ত্র থেকে যারা প্রার্থী হবেন, তাদের ৩০০ ভোটার সমর্থকের স্বাক্ষরসহ মনোনয়নপত্র দাখিল করতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০১, ২০১৮
ইএস/এইচএ/