বুধবার (২ জানুয়ারি) নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
গত ৩০ ডিসেম্বর ২৯৯ আসনে সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আর বিএনপি পাঁচটি আসন, গণফোরাম দু’টি আসন ও স্বতন্ত্র দু’জন প্রার্থী জয়লাভ করেছেন।
বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট এ ফল প্রত্যাখ্যান করে পুনঃভোটের দাবি জানিয়েছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার ইতোমধ্যে সে দাবি নাকচ করে দিয়ে বলেছেন, পুনরায় নির্বাচন করা সম্ভব নয়। এ অবস্থায় বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থিরা শপথ নিয়ে সংসদে বসবেন কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে।
ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ এ নিয়ে বলেন, একাদশ জাতীয় নির্বাচনের গেজেট প্রকাশ করে সংসদ সদস্যদের শপথ অনুষ্ঠানের জন্য সংসদ সচিবালয়ে পাঠানো হয়েছে। অধিবেশন শুরু হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে কেউ শপথ না নিলে সংশ্লিষ্ট আসনকে শূন্য ঘোষণা করবেন স্পিকার।
তিনি বলেন, গেজেট প্রকাশের তিন দিনের মধ্যে শপথ নিতে হবে। শপথগ্রহণের ৩০ দিনের মধ্যে সংসদ অধিবেশন বসবে। অধিবেশন শুরুর ৯০ দিনের মধ্যে শপথ নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। এর মধ্যে কেউ যদি শপথ নিতে ব্যর্থ হয়, তাহলে তাকে অযোগ্য বলে গণ্য করবেন স্পিকার। সংবিধানে ৬৭ (১) এ কথা উল্লেখ করা আছে।
কেউ যদি স্পিকারের কাছে শপথ না নেন, তবে সিইসির কাছে নিতে হবে বলেও সংবিধানে বলা আছে।
দশম সংসদের সময় ২০১৪ সালে ৫ জানুয়ারি ভোটগ্রহণ হয়। ৮ জানুয়ারি গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। ৯ জানুয়ারি শপথগ্রহণ করে সংসদ সদস্যরা।
গেজেট দেখতে ক্লিক করুন
ইতোমধ্যে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার (৩ জানুয়ারি) একাদশ জাতীয় সংসদ সদস্যের নবনির্বাচিতদের শপথ হবে। সে মোতাবেক মঙ্গলবারই (১ জানুয়ারি) গেজেট প্রকাশ করে ইসি।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০২, ২০১৮
ইইউডি/আরবি/